বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭



জানিয়া রেখ, চোরও লাশের কাপড় চুরি করে। কিন্তু মাজারের গিলাপ কখনই চুরি করে না।        
                                -------বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর।

চোরও চোরকে ঘৃণা করে, যে চোর গরু চুরি করে।                                                
                                 ----------     বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর।

রূপসী নারীকে দেখে যে বলে ভালোবাসি, জেনে রাখ সেটা কখনই ভালোবাসা না, দৈহিক চাহিদা মাত্র।
-                                 ------বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর।


বিবেক বোবা হয়ে যায় যখন দেখতে পায় মহারাজারও মহারাজা ডাকাতরা আল্লাহর ওলি হয়। আর সারা জীবন সাধু থেকেও কাঁচকলা পায়।
কোরান বলছে ইউতিহু মাইয়াশাউ – আমি আতা করি যাকে খুশি তাকে।
                                -------- বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর

সারাটি  জীবন আপন পীরকে বাবা বাবা বলে ডাকলেন অথচ পেলেন না কিছুই।  এই বাবা বলে ডেকে কোনো লাভ নেই। এখানে পীর বড় নয়, সত্য পাওটাই বড়। তাই একটির পর একটি পীর বদলিয়ে ফেলুন।

               ----------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।

নকশাবন্দি- মুজাদ্দেদি তরিকা, চিশতিয়া-কাদেরিয়া তরিকা, আবু - উলাহ তরিকা, কালান্দারিয়া তরিকার শান গেয়েই গেলেন , শান না গাইলেও কিছু আসে যায় না। প্রশ্ন হলো? আপনি তো তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে শুধু লাফালাফি করেই গেলেন।
              --------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
বাব জান শরীফ শাহসুরেশ্বরীর বাণী ৩১ ।

সারাটি  জীবন আপন পীরকে বাবা বাবা বলে ডাকলেন অথচ পেলেন না কিছুই।  এই বাবা বলে ডেকে কোনো লাভ নেই। এখানে পীর বড় নয়, সত্য পাওটাই বড়। তাই একটি পর একটি পীর বদলিয়ে ফেলুন।

                  ------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।

নকশাবন্দি- মুজাদ্দেদি তরিকা, চিশতিয়া-কাদেরিয়া তরিকা, আবু - উলাই তরিকা, কালান্দারিয়া তরিকার শান গেয়েই গেলেন , শান না গাইলেও কিছু আসে যায় না। প্রশ্ন হলো? আপনি তো তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে শুধু লাফালাফিই করেই গেলেন।
                 ------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।

 আমার পীর বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অন্য পীরের তুলনা করাই যায় না। কারণ, কোরানে ২১ টি বার রুহ বিষয়ে বলা হয়েছে, এবং এই ২১ বারই এক বচনে বলা হয়েছে রুহের বহুবচন নাই । রুহ ফুৎকার করা হয়– নফস নয় । এই বিষয়ে অবাক করা ব্যাখ্যাটি সমগ্র পৃথিবীতে আমার বাবাই দিয়ে গেছেন। কথাটি শুনতে ভাল লাগবে না, কিন্তু আসলে ইহা একটি তিক্ত সত্য কথা।  আমার পীর বাবার পঁচিশটি বই কোরানের পনের পারার অনুবাদ কিছুটা ব্যাখ্যা এবং আট জি.বি তেষট্টি ঘন্টার মেমোরিকার্ডটি শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন আমার কথার সত্যটি।
                  -------শাহ সূফি ময়েজউদ্দিন আল সুরেশ্বরী।

যারা অজানা কিছু জানতে আগ্রহি
তাদেরকে বলছি, সবাইকে নয়।

তোমার পীর যত বড় পীরই হোক না কেন
যদি তুমি তার থেকে সত্য না পাও তবে
ফেলে দাও তাকে। কারণ পীর এখানে মুখ্য
বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো সত্য পাওয়া।
সত্য হলো আল্লাহর রহস্য লোকের কিছু জানা।
সুরেশ্বরীর শান কত বড় রে, ভান্ডারীর শান
কত বড় রে, খাজা বাবার শান কত বড় রে,
শান বললেও আছে, না বললেও আছে, তুমি
কি ঘোড়ার ডিমটা পাইলা। তুমিতো বকরির
তিন নম্বর বাচ্ছার মতো দুধ না পেয়ে পীরের
বাড়িতে গিয়ে শুধু লাফালাফিই করে গেলা।

আসো বসো মুরিদ হও, ধ্যান - সাধনা কর, যদি
আল্লাহর রহস্যলোকের কিছুই না পাও
আমাকে ফেলে চলে যাও, এখানে পীর বড়
নয় এখানে সত্য বড়। সারা জীবন বাবা
বাবা ডাকবা পাইবা না ঘোড়ার ডিমও
সেই বাবা ডাইকা কোন লাভ নাই।
              --------কালান্দার ডাঃ বাবা  জাহাঙ্গীর ইকবাল

শরাহ বা ধর্মরে রীতিনীতি তিনটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ । যথা – ঈমান, ইসলাম ও এহসান। ঈমান হল এমন এক ধরনের প্রত্যয় বা বিশ্বাস যাতে কোনা দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সন্দেহ নেই। ইসলাম হল দ্বীনর বহু শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট বাহ্যিক রূপ। অর্থাৎ ইসলাম বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানের  মধ্য সীমাবদ্ধ। উল্লিখিত ইসলাম দ্বারা বাহ্যক  রীতিনীতি বোঝায়। এ ইসলাম মুসলিমদের বিভিন্ন মাজাহাব দ্বারা বিভক্ত। কিন্তু মূল ইসলামে কোনো দ্বিধা-বিভক্তি নেই। এক হিসাবে বলা হয়। এখানেই ইসলামের পূর্ণতা ও মহত্ত পরিস্ফুটিত । এর বিষয়বস্তু  হল, অন্তর ক্রিয়া । তাই অন্তর ক্রিয়  দ্বিধামুক্ত এবং সন্দেহের অতিত। কারণ এর লক্ষ তাওহীদে প্রকৃতি হল তাকওয়া । সুতরাং এ পথে দ্বিধা ও দ্বন্ধের স্থান নেই। এর স্তর ও পদ্ধতিতে বিভিন্নতা পরিদৃষ্ট হলেও এহসানই হচ্ছে এর মূল । এহসানে সমগ্র ভুমিকাই কল্যাণকর এবং পবিত্র ।এরই নাম কামালিয়াত ও বুজুর্গি । সুতরাং এত দ্বিধার স্তান নেই । তবে এ ক্ষেত্রে স্তরে স্তরে পার্থক্য হতে পারে। এর কারনে এহসানওলাদের মৌল উপাদান অভিন্ন। প্রকৃতপক্ষে তারা আপসে একই ব্যক্তি তূল্য।


রোজা বিষয়ে আলোচনা পর্ব.....১

রোজা কথাটি যদিও বাংলায় চালু, কিন্তু ইহা ফারসি ভাষা হতে এসেছে। উর্দুতেও রোজাই বলা হয়। কিন্তু আরবিতে ইহাকে সিয়াম বলে। যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করে তাকে বলে সায়েম। এখন প্রশ্নটি হলো, সিয়াম বলতে কী বোঝায়? সিয়াম অর্থ হলো, প্রত্যাখ্যান, বর্জন, ত্যাগ, বিরত থাকা। ইংরেজিতে রিজেকশন বলা যেতে পারে। সুতরাং যে ব্যক্তি এই প্রত্যাখ্যান, বর্জন, ত্যাগ এবং বিরত থাকার প্রচেষ্টায় লিপ্ত তাকে সায়েম বলে তথা রোজাদার বলে। এখন কথাটি হলো যে, সায়েম তথা রোজাদার  কোন বিষয়টি হতে বিরত থাকবে? এবং কী তাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে? প্রত্যাখ্যান করার অথবা বর্জন করার একমাত্র বিষয়টি হল আমিত্ব। আমিত্ব বলতে কী বোঝায়? যে ‘আমি’-টি নির্ভেজাল নয়, বরং ভেজাল আছে সেই ভেজাল ‘আমি’-টিকে বলা হয় আমিত্ব। ‘আমি’-টি কখন ভেজালে পরিণত হয়? যখন ‘আমি’-র সঙ্গে খান্নাসরূপী শয়তানটি বহাল তবিয়তে বাস করে এক ‘আমি’-কে দুই ‘আমি’-তে পরিণত করে। এক ‘আমি’-র মাঝে দুই ‘আমি’ থাকাটাকেই ভেজাল বলে। এই দুই ‘আমি’-র ভেজাল হতে পরিত্রাণ পাবার জন্য, মুক্তিলাভ করার আশায় যে ‘আমি’-টি নকল ‘আমি’-টিকে বর্জন করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত তাকেই রোজাদার বলা হয়। আরবিতে তাকে বলা হয় সায়েম। ইহাই রোজার তথা সিয়ামের মূল উদ্দেশ্য। মূল উদ্দেশ্যটিকে সামনে রেখে যে ব্যবস্থাপত্রটি দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থাপত্রটিতে নানা প্রকার আদেশ উপদেশ থাকে। কারণ যে কোনো মূল বিষয়টিকে প্রয়োগ করতে গেলে ব্যবস্থাপত্রে অনেক রকম আদেশ উপদেশ থাকতে বাধ্য। মনে রাখতে হবে যে, ব্যবস্থাপত্রের আদেশ নিষেধগুলোর পেছনে যে মূল উদ্দেশ্যটি আছে উহা যেন ভুলে না যাই। মূল উদ্দেশ্যটি ভুলে গেলেই অথবা গুরুত্ব না দিলেই বিষয়টি কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকতার বলয়ে আবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং অনুষ্ঠানগুলোকেই মূল বিষয় মনে করে মতভেদের উদ্ভব হয়। এই মতভেদ জন্ম দেয় নানা প্রকার ফেরকাবাজির। তখন সমাজ জীবন এবং জীবন পরিচালনার দর্শনগুলো ফেরকাবাজিতে ডুবে যায় এবং বাকবিতণ্ডা ও ঝগড়াঝাঁটি করে মূল বিষয়টি হতে অনিচ্ছায় বহু দূরে সরে পড়ি। অধম লিখক যেমন বললাম যে, নফ্সের ভেতর খান্নাসরূপী শয়তানটিকে তাড়িয়ে দেবার সাধনার নামটি হল সিয়াম, কিন্তু অন্য গবেষণা হয়তো একথাটি এভাবে না বলে অন্যভাবে বলবে। বলবে দুনিয়া ত্যাগ করতে হবে। বলবে তাগুত ত্যাগ করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো, দুনিয়া বলতে কী বুঝায়? দুনিয়া বলতে কিন্তু এই পৃথিবী নামক গ্রহটিকে পরিত্যাগ করার কথাটি মোটেই বলা হয় নি। কারণ দুনিয়া বলতে আপন নফ্সের স্বেচ্ছাচারটিকে বোঝানো হয়েছে। নফ্সের এই স্বেচ্ছাচারটি কেমন করে আসতে পারে? যখন নফ্সের সঙ্গে খান্নাসরূপী শয়তানটিকে জড়িয়ে দেওয়া হয়। কেন খান্নাসরূপী শয়তানটিকে একটি পবিত্র নফসের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয়? জড়িয়ে দেওয়া হয় এই জন্য যে, একটি নফস তথা একটি মানুষ কি আল্লাহকে চায়, না চায় না―এই আল্লাহকে চাওয়া আর না-চাওয়ার নামটিই হল পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটির জন্যই মানুষকে বানানো হয়েছে।
  


রোজা ও ইফতার
ডা. বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী                                            
                                                                                                             চলবে......
                                                
        বি:দ্র: ডা:বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী রচিত বইসমুহ পাইকারি মূল্যে নিম্নোক্ত ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছে........। 

         ঠিকানা:
                  সুফিবাদ প্রকাশনালয়
              প্রযত্নে:বে-ঈমান হোমিও হল
   ১০৮ নিউ এলিফ্যান্ট রোড(২য় তলা) ঢাকা-১২০৫
               মোবাইল ঃ০১৯১১৫৯৭৭৮০
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=272469246515784&id=100012581327902