রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

প্রাণ ও পরম এর রহস্য
                    ...................................
প্রাণ এবং পরম এক নয়। প্রাণ-পরমের প্রশ্নে সবাই ভুল করে। দার্শনিকরা তো আরও ভুল করে। ভাষার শব্দের গাঁথুনির অভাবে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ ভুল করেছেন। দেবতাদের রাজা মহাদেবও ভুল করেছেন। আসলে এই ভুলটি ভুল নয়। ভাষার অভাবে বাধ্য হয়ে তাঁরা ভুল করেছেন। তাঁরা জেনেশুনে ভুল করতে বাধ্য হয়েছেন। কোথায় প্রাণ আর কোথায় পরম। আর সাধারণ পীর-ফকিরেরা, ওলি- দরবেশেরা ভুল করে কিন্তু বিগার কমে না। বিগার মানে ঠাঁট-বাঁট অহঙ্কার। কিচ্ছু জানে না অথচ পীর হয়ে বসে আছেন। ভিতরে কোন মালই নেই কিন্তু পরে আছেন সুন্নতি লেবাস। এই রকম সুন্নতি লেবাস মহানবি পরেছেন কি-না সন্দেহ! ইহা কি তথাকথিত সুন্নত, না আসল সুন্নত? তাহা আমার জানা নাই। প্রাণ আর পরমের পার্থক্যটি করে গেছেন পৃথিবীর বুকে একমাত্র মহানবি আবুল কাসেম হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। মহানবি বলে গেছেন, প্রাণের নাম নফ্স আর পরমের নাম রুহ। এই নফ্স আর রুহের পার্থক্যটি মোল্লারা বোঝেন না। মোল্লারা কিছুই জানে না তাই খুব বেশি বকবক করে। আর সাধারণ মানুষেরা মাথায় গরু-মহিষের মগজ থাকাতে সোবহানাল্লাহ্ বলে চিৎকার করে। সাধারণ মানুষ বানরের চেয়ে একটু উঁচায়। সাধারণ মানুষকে বোঝালেও কী, আর না বোঝালেই কী। সাধারণ মানুষের নাকে গোলাপ ফুল ধরলে জিহ্বা বের করে খেতে চায়। কোন মোল্লার মুখে শুনলাম না এই হাদিসটি- "এক ঘন্টা জ্ঞান অর্জন সত্তর বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম"। তাহলে এই জ্ঞান কোথা হতে অর্জন করবো? জ্ঞান অর্জন করতে হলে পাঠাগার,স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি হতে জ্ঞান অর্জন করা যায়। এই জ্ঞান অনুসরণ- অনুকরণ করার জ্ঞান। কারণ জ্ঞান দুই প্রকার- একটি হলো: অনুসরণ-অনুকরণ করার জ্ঞান, অপরটি হলো সৃষ্টি করার তথা সৃজনিশক্তির অধিকারী হওয়া। অনুসরণ-অনুকরণ এর জ্ঞান অর্জন করতে হলে বড় বড় ডিগ্রী নিতে হয়। এই ডিগ্রীগুলি এক একটি বড় সাইনবোর্ড। আর যারা সৃষ্টি করে তাঁদের কাঁধের উপর সাইনবোর্ড থাকে না, তারা সবার জন্য। সবার জন্য যে জ্ঞান তার নামই সুফিবাদ। সুতরাং সুফিবাদ ধর্মকে অনুসরণ করে কিন্তু অনুকরণ করে না। কুকুর লেজ নাড়ায় কিন্তু লেজ কখনও কুকুরকে নাড়াতে পারে না। সৃষ্টি করার জ্ঞান স্কুল কলেজ হতে পাওয়া যায় না। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, পান্জু শাহ্, দুদ্দু শাহ্, মনমোহন,  দ্বিজদাস, জগদিশ এরা সৃষ্টি করার প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। এরা সবসময় ডালভাতের হালে থাকেন। মোহমুক্ত হয়ে যে জীবনটি দাঁড়িয়ে থাকে সেই জীবনটিকে গালভাতের হাল বলা হয়। ইবাদত, বন্দেগি, পূজা, প্রার্থনা করতে হয় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা, কালিশায়। এক ঘন্টা জ্ঞান অর্জন করা সত্তর বছর (বেরিয়া) ইবাদতের চেয়ে উত্তম। তাহলে সাধারণ মানুষদের অনুরোধ করছি, একটু চিন্তা করুন, গবেষনা করুন সত্তর বছরে কত ঘন্টা হয়? আটষট্টি হাজার চারশ ঘন্টায় সত্তর বছর হয়। তাহলে ফলটি কি দাঁড়াল? একটি ইবাদত খানা, একটি পূজা করার মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা, কালিশা, গুরু দোয়ারা বহু নামে পরিচিত স্থানগুলো হইতে আটষট্টি হাজার চারশ গুন পবিত্র- যে ঘরে সৃজনিজ্ঞান অর্জন করা হয়। অনুসরণ-অনুকরণ এই জ্ঞান দিতে পারে না। এই জ্ঞান দিতে পারে কেবলমাত্র প্রেম, ভালবাসা, মোহাব্বাত, ইষ্ক, উলফাৎ, হব্বুন। তাই সুফিবাদের ধর্মই হলো প্রেম। সুতরাং যেখানে প্রেম নাই, সেখানে সুফিবাদ নাই। কতগুলো কথা শেখা প্রেম নয়। চোখের জল, কান্না, চিৎকার, নৃত্য করা এগুলো প্রেমের কিছুটা লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো যাদের মধ্যে নাই তারা কাষ্ঠ ধর্মের অনুসারী। তাই সমগ্র পৃথিবীকে শান্তি দিতে পারে প্রেম নামক ধর্মের বাহন সুফিবাদ। সুফিবাদই প্রথম, সুফিবাদই শেষ, সুফিবাদই বেচ্যাইন সৃষ্টি করে। তাই সুফিবাদ যারা করে থাকে তারা জবাই করা মুরগির মতো ছটফট করে। সুফিরা বলে, ওরাইতো আনন্দে আছে, ওরাইতো আরামে আছে- যারা জীবনেও আরাম পাই নাই। তাইতো মওলানা জালাল উদ্দিন রুমি বলে গেছেন, "উস দিওয়ানা দিওয়ানা না শোধ"- তথা যে পাগল হয় নাই সেই তো আসল পাগল। হযরত জিগার মুরাদাবাদি বলে গেছেন, "ঐ মানুষটি হুশের মধ্যে আছে, যার কোন হুশ নাই"। সুতরাং হে মানুষ, তুমি যদি সত্য সাগরে অবগাহন করতে চাও তাহলে সাহসের সাথে সুফিবাদকে গ্রহণ করো।

সগীরে  আজম, জামালে কিবরিয়া, গোলামে হারিমেনাজ,ফজলে রাব্বানি , আমবারে ওয়ারসী, হেরমায়ে আবদাল, জানজিরে বেখুদি, লাসানিয়ে সিনানাথ, নূরে তাবাসসুম, মেহেতাব বিন্দাবাসি, দিলবারি পায়েন্দবাসি, আশেকা শারমিন্দাবাসি, গোলামে রিন্দী, পীরে এলমে লাহুতি,  জামালাস, ফিকরে উইসালাস, ফায়েজে মাহাবুবে এলাহী, খায়ের মাকদম,শারমি ফারোশাম, আমাদ তামামি, গোলামে ফা-কুম-কুম ইয়া হাবিবী, বা-হুসনে এহে্তেমামাত, তোফায়েলে দিগারা ইয়াবাত, মুফ্তা খারাজুয়ে, বেমেছালে লাজশরম, বারকাতকা এজাহার, জামালে এলাহিয়া, হালে মোরাকাবা, চেরাগে রওশন,জালুয়ায়ে নুরে এলাহী, বেনিয়াজ, গুলে বে- নাজির, গোলামে বাশানে বাশিরুন, হুব্বেতো মাস্তাম,গোলামে মাকসুদে হাকিকত, পারাস্তারে মহাব্বত, উলুলে মহাব্বত, মোহনী মুরাত, সোহনী সুরাত, বান্দা নেওয়াজ, জালুয়ায়ে দিল, আশিকে জামালে ইয়ার, গোলামে হাসান হোসাইন, ফসলে গুল, গাওহারে মানি, হাকিকাতে মুনতাজার , ছানাম আশেকা, হুব্বে মাকামে কিবরিয়া, মেরা ইমান আলি হ্যাঁয়, ফায়েজে মাহাবুবে জালাল নূরি আল সুরেশ্বরী, হুসনে সানাম, নুরকা পূতলা, সুরাতে বালিহারি, বান্দায়ে তাজদারে হারাম, চেরাগে মহাব্বত, জুলমাতমে নূর, পারাস্তারে সামাদ, গোলামে জুলজালাল,বান্দায়ে ইকরাম, বেখুদি এ সেতারা ও হেলাল, চেরাগে জান শরীফ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল ইবনে হেলাল গোলামে শাহ জালাল নূরী  আল সুরেশ্বরী।
(উনার রচিত ২৫ টি বই এবং ৬৫ ঘন্টার মেমোরিকার্ড টি শুনলেই আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন)।
"কালান্দার ড. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল"
বে-ঈমান হোমিও হল।
নিউ- এলিফ্যান্ট রোড, ১০৮
 ঢাকা-১২০৫
(শনিবার বাদে দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা)

জিগার মুরাদাবাদীর কালাম


 " হ্যায় রাতে ইশক নেহি স্যাক জুনু দোষ নেহি
এহি দেওয়ানা চ্যালে আও মুঝে হুশ নেহি "

বাংলায় অনুবাদ :-
প্রেমের উত্তাল ঢেউগুলো যার হৃদয়ের মাঝে আচড়ে পড়ে না তাকেও কোন দোষ দিতে যেও না। আবরণীর আবরণ ফেলে দিয়ে আমার কাছে চলে আসো কারন আমিতো বৈষয়িক চাওয়া পাওয়া হতে বেহুঁশ হয়ে আছি।
                                             
"রিনদো মুঝকো সামাঝতে হে উনহে হোঁশ নেহি
ম্যায় কাদা শ্বাস হু ম্যায় কাদা পার হোঁশ নেহি "

বাংলায় অনুবাদ :-
  কেবলমাত্র মুনি ঋষিরাই আমাকে বুঝতে পেরেছে যে আমার কোন দোষ নাই। তথা মোহ মায়া হতে আমি মুক্ত সম্পুর্ন মুক্ত। আমার নিশ্বাস-প্রশ্বাস ঐ মাতাল খানায় ওখানেই পদযুগল রাখার পর কখন যে আমি বেঁহুশ হয়ে গেলাম তা আমি নিজেই বুঝতে পারলাম না।
                                           
"ক্যাহ গ্যায়ি কানমে আকার তেরে দেওয়ান কি হাওয়া
       সাহেবে হোঁশ ওহি হ্যায় কে যিসে হোঁশ নেহি।"

বাংলায় অনুবাদঃ-
 যে সরাব ঢেলে দেয় সেই সাকি আমার কানে কানে বলে গেল প্রেম ভরা আখিতে প্রেমের শাড়ীর আঁচলের মৃদু দুলিয়ে ঐ তো প্রেমের বাদশাহ, হুঁশের মহারাজা হুঁশের নৃপতি যার মধ্যে কোন হুঁশ নাই।
                             

"কাভি উলফাৎ ভ্যারি আখো সে পিয়াযা এক যাম
আজ তাক হোঁশ নেহি হোঁশ নেহি হোঁশ নেহি।"

বাংলায় অনুবাদঃ-
কবে কোনদিন ভালবাসার চোখে এক পেয়ালা সরাব আমাকে পান করিয়েছিলে। সেই দিবসটির কথা আমি ভুলে গেছি। কেবলমাত্র এটুকুই বুঝতে পারলাম সেইদিন হতে আজ অবধি আমার হুশ নাই, হুশ নাই, হুশ নাই।
                                 
"ম্যাহ যে তাসরির কো স্যব হ্যায় মাগার ইনরাক কাঁহা
   জিন্দেগী খুদহি ইবাদাত হ্যায় মাগার হোঁশ নেহি।"

বাংলায় অনুবাদঃ-
  সবার কাছে তো প্রেয়সীর ছবি খানা আছে। কিন্তু ঐ প্রেয়সীর প্রতি নেই কোন ধ্যান, নেই কোন তাসাব্বুর, নেই কোন বর্জক, নেই কোন নিরিখ। তুমি কি জান? তোমার ঐ প্রেয়সীকে যদি হৃদয়ে স্হান দিতে পারতে তাহলে তোমার জীবনটাই ইবাদতে পরিনত হতো। কারন তোমার আর কোন হুশ থাকতো না। মোহ-মায়ার আবরনটি আর তোমাকে ঢেকে দিতে পারত না।
                             

   "মিলকে যিস দিন সে গ্যায়া হ্যায় কোয়ি একবার জিগার
মুঝকো ইয়ে কাহমে হ্যায় ক্যাসে পিয়াকা হোঁশ নেহি। "

বাংলা অনুবাদ:
   সহসা যেদিন সাকির প্রেমে পড়ে গেলাম সে দিন হতে এটুকুই বুঝতে পারিনি কেমন করে কি ভাবে জিগার ধরা দিতে থাকে  যে আমার হুশ নাই, হুশ নাই।


 বাংলায় অনুবাদঃ  
 ডা: বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী

বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী লিখিত বই গুলো পাবেন....
                                             সুফিবাদ  প্রকাশনালয়                        
                                              প্রযত্নে:বে-ঈমান হোমিও হল
                                  ১০৮ নিউ এলিফ্যান্ট রোড(২য় তলা) ঢাকা-১২০৫।
                                           মোবাইল ঃ০১৯১১৫৯৭৭৮০

সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭

কী হাকছে ফারিশতাউনে ইকবাল কী গমমাজী
কোন অধিকারে ফেরেশতারা ইকবালের অতীতের ভুলগুলোর হিসাব লিখবে..?
গুশতাখ হ্যায় করতা হ্যায় ফিতরাত কী হিমা বান্দী
ভুলগুলোর মাঝে আমি তো আজন্ম বন্দি হয়েই আছি..
খাকী হ্যায় মগার ইশকে আন্দাজ হ্যায় আফলাকী
যদিও মাটির মানুষ আমি, কিন্তু প্রেম উঁচু আকাশের অধিবাসী করেছে..
রুমী হ্যায় না শামী হ্যায় কাশী না সামারকান্দী
আমি রুমিও নই,শামিও নই, কাশিও নই আর সামারকান্দিও নই..
সিখলাই ফারিশতাউকো আদম কী তরফ ইছনে
ফেরেশতাদের কে শিখিয়ে দিলেন খোদা আদমের মর্যাদা সম্পর্কে..
আদম কো শিখাতা হ্যায় আদাবে খোদাওয়ান্দী
তারপর আদম কে শিখিয়ে দিলেন কেমন করে খোদার নৈকট্য পাওয়া যায়
হাকিমী নে মুসলমানী খুদী কী
কালীমি রামজে পিনহানী খুদী কী
খোদা তোমার রহস্যময় পোশাকের ভেতরেই তোমার আমিটির ভেতর লুকিয়ে আছেন।
তুঝে গুর ফখরে শাহী কা বাতাদো?
তুমি তোমার বুজর্গির অহঙ্কারের বিষয়টি আমায় বলবে..?
গরীবি নিগেবানী খুদী কী
অথচ তুমি গরিব আমিটির মাঝেই তোমাকে দেখতে চেষ্টা কর
দায়ারে ইশক মে আপনা মাকাম প্যায়দা কর।।
জাগ্রত রুহের অধিকারী (প্রেমমন্দির,কামেল গুরু)প্রেমে আপন ঘরটিকে নুরময় করে তোল।।

তোমার আমিটার প্রতি যদি দৃষ্টি না থাকে তো কিছুই রইলো না
না তু জমি কে লিয়ে হ্যায় না আসমাকে লিয়ে
তোমাকে এই পৃথিবীর তরে নহে আর ঐ আকাশের তরেও নহে
জাহাঁ হ্যায় তেরে লিয়ে তু নেহী জাহাঁকে লিয়ে
পৃথিবীটা তোমারই জন্য তুমি পৃথিবীর জন্য নহে
সেতারোঁ সে আগে জাহাঁ আওর ভী হ্যায়
তারকা-রাজ্যের উর্ধ্বে আরও সৃষ্টিজগত রহিয়াছে
আভী ইশক কী ইনতেহা আউর ভী হ্যায়
জেনে রাখ প্রেমের পরীক্ষা তাহারও উর্ধ্বে অবস্থান করে
ইয়ে হিকমতে মালাকুতী ইয়ে ইলমে লাহুতী
ইহা ফেরেশতা রাজ্যের রহস্যময় হিকমত,ইহা নাই রাজ্যের জ্ঞান
হারাম কে দরদকা দারমা নেহী তো কুচ ভী নাহী
হৃদয়ের অনুভূতি না থাকলে তো আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না
ইয়ে জিকরে মীম সাবী ইয়ে বোরাক  বে সারুর
ইহা মিমেরই স্মরণ একমাত্র প্রশংসা ইহাই দ্রুতগামী বোরাক
তেরী খুদী কে নিগেবা নেহী তো কুচ ভী নেহী
তোমার আমিটার প্রতি যদি দৃষ্টি না থাকে তো কিছুই রইলো না
খিরাদ মে ক্যাহ দিয়া লা ইলাহা কো কিয়া হাসিল
সকাল-সন্ধ্যায় তুমি তোমার নবযুগের সূচনা কর
দিলো নিগাহ মুসলমা নেহী তো কুচ ভী নেহী
যদি খোদা ইচ্ছা করেন তো তিনি তোমার সুন্দর আমিত্বের বিনাশ করতে পারেন

নয়া জামানা লায়ে ফিতরত ছে নাজ বেখুদকো
 সখুকে লালা হো গুলসে কালাম প্যায়দা কর।
উঠা না সীসা জারা ম্যায় ফরেন দেখে গা।
ছাপালে পাকছে মিনা ওয়া জাম প্যায়দা কর
তুমি তোমার জুব্বার ভেতরে রাখা পানপাত্রটিকে যদি পবিত্র করতে পার
তেরা তারিকা আমিরী নেহী ফকিরী হ্যায়
 তোমার পথ তো আমিরি নহে,বরং ফকিরিই তোমার জন্য প্রযোজ্য
খুদী না বেচে গরিবী মে নাম প্যায়দা কর
তোমার স্বকীয়তাটিকে বিক্রি না করে বরং গরিবির খাতায় নাম লিখে নাও

দায়ারে ইশক মে আপন মাকাম প্যায়দা কর।।

শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭

 আমাদের পীর বাবা কালান্দার জাহাঈীর এর অবাক করা বাণী- ৪

একই হাত ভালবাসায় কেঁপে ওঠে, আবার ঐ একই হাত খুন করতেও কেঁপে ওঠে না।
                  ~হজরত কাতিল সাফায়ি

ঐ মানুষটাই সবচাইতে আরামে আছে , যে মানুষটি কখনই আরাম পায় নাই।
~খাজা গরিবে নেওয়াজ

আমিই ওলি, আমিই আলি , আমিই নবী, মাওলানাও আমি, বীরপুরুষও আমি এবং মন্দিরের পূজারিটিও আমি । এক বিনে যে দুই নাই। দুই দেখাটাও দৃষ্টিবিভ্রম মাত্র।
                      ~হযরত শেখ ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকর।

আমার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে রুহুল আমিন যায় ও আসে, আমি কিছুই জানি না। কেবল জানি আমিই দ্বিতীয়  যিশুখ্রিস্ট। (ইহা সবারই জানা থাকার কথা যে ২৫ জন নবী মিলেও তিনি যতটা করেছেন তার ১২ ভাগের এক ভাগও মুসলমান বানাতে পারেন নাই -সেই খাজা বাবা গরিবে নেওয়াজ।)

আমার দেহের মধ্যে যে আমি আছি, ইহাই তো ঈশ্বরের অবস্থান করার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ। ঈশ্বর আমার মধ্যে, আমি ঈশ্বরের মধ্যে। প্রমাণ দেবার আর কোনো প্রয়োজন নেই। আমি যে আমার মধ্যে আছি, এই যুক্তি খণ্ডালেও আমি আছি, না খণ্ডালেও আমি আছি।
                         ------------------  দার্শনিক রেনে ডেকার্তা
                                     


ওহাবী মতবাদের গুরুঠাকুর ইমাম তাইমিয়া আর আব্দুল ওহাব নজদী কোরানের ব্যাখ্যার প্রশ্নে এবং মাওলা আলীর কথা এবং নবী মূসা এবং অলী খিজিরের তিনটি ঘটনার প্রশ্নে কে কি জবাব দেবেন? এজন্যই  আপনাদে অনুসারীরা  এ যুগে " দিস ইজ সূফীজম" নামে বই লিখে গাউছুল আজম বড় পীড় সাহেব, ইবনুল আরাবী, ইমাম গাজ্জালী এবং আহমদ রেফাইর বিরুদ্ধে জঘন্য এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন যাতে অশ্লীল ভাষার প্রশ্নে পর্নো ভাষাটিকেও হার মানিয়েছেন। জঘন্য ভাষায় সর্বজনমান্য ইমাম গাজ্জালীর "এহিয়ায়ে উলুম " এবং ইবনুল আরাবীর "ফতুহাতে মক্কী " কে গঠনমূলক সমালোচনা না করে গালিগালাজ করেছেন। ইমাম জাওজীর রচিত " তাবিসে ইবলিস " বইটিকে সামনে রেখে বড় পীর সাহেবকে সবচেয়ে বেশী বকাবাজি করেছেন। কিন্তুু আপনারা অবশ্যই জানেন যে, এই "তাবিসে ইবলিস" বইটি লিখার পর পরই ইমাম জাওজী তওবা করে বড় পীর সাহেবের মুরিদ হয়েছিলেন। কিন্তুু আপনারা পাঠক ভাইদেরকে ফাঁকি দেবার জন্য মুরিদ হবার কথাটি জেনে শুনে ছাপিয়ে গেলেন। তা না
হলে আপনাদের লিখনির গোমর ফাঁক হয়ে যায়। এতই নিম্নমানের অশ্লীল এবং অপাঠ্য যে, পাল্টা "দিস ইজ দি অরিজিন অফ ওহাবিজম " লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তুু বিকৃত মস্তিস্কের ফসল যারা তৈরী করতে পারে তাদেরকে হাজারো বার বুঝালেও যেমনকার তেমনটিই থেকে যাবেন। ইহুদিরা যাকে দ্বিতীয় মুসার সম্মান দিতেও লজ্জা পান না। সেই বারো শতকের দার্শনিক মায়ামোনিডিসের কথাগুলো হুবাহু আপনাদের লিখা ও দর্শনে ফুঁটে উঠে। মায়ামোনিডিসের কথাগুলোকে যদি সম্বল করে ওহাবী মতবাদ প্রচার করেন, তাহলে বলার কি থাকতে পারে? কেবল কিছু সহজ সরল মানুষগুলোকে বিভ্রান্তির চিকন জালে আটকিয়ে আপনাদের অনুসারী বানাতে পারবেন। যেমন মার্কস আর লেলিন বস্তুবাদের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ধর্মকে নেশার আফিম বলে লেলিয়ে দিয়েছিল তাদের চেলা চামুন্ডাদের! কিন্তু আজ?কত রং ঢং এর যুক্তি, তর্ক নামক নৃত্য দেখিয়ে কত মানুষকে কাছে টেনে নিয়েছিলো। আর আজ? দ্বান্দ্বিক দর্শন হতে আধ্যাত্মবাদকে কাঁচি দিয়ে কেটে লেজ কাটা দ্বান্দ্বিক দর্শনের মারাত্মক যাদু দেখে অনেকেই মুক্তির মূলমন্ত্র বলে মনে করেছিল। আর আজ? বস্তুবাদের মুক্তি এখন নিকোলাই, চসেস্কু আর এলেনা চসেস্কুর ফায়ারিং স্কোয়াডে পড়ে থাকা লাশ। আর লেনিনের সগর্বে দাঁড়ানো মূর্তি মাটিতে বিলীন।গুরু মারা বিদ্যা আবিস্কার করে গুরু হেগেলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে গিয়ে নাস্তিক্যবাদের পরিণতিটা কি হয়েছিল। আর আজ? কোরানেই একটু খুঁজে দেখুন, দেখতে পাবেন কোরানের আমানত পাহাড় পর্বত, সাগর কেউই নিতে
চায়নি। যদি কোরানের আমানত নিত তাহলে পাহাড় পর্বত তুলার মত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত এবং সাগর শুকিয়ে যেত। তাহলে এই কোরান বলতে আল্লাহ কি বুঝাতে চেয়েছেন? বুকে হাত রেখে বলুন তো, কোরানের এই কথাগুলোর কি উত্তর দেবেন? আপনারা উল্টা পাল্টা সব বিষয়েরই উত্তর দিতে পূূর্ব হতেই উস্তাদ। নিরপেক্ষতা মানে কখনোই সত্যেকে অস্বীকার করা বুঝায় না। আল্লাহ মহানিরপেক্ষ, কিন্তুু সত্যের পক্ষে এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে। যারা আল্লাহ নাই বলেন এবং তাই বিশ্বাস করেন তাদেরকে তো আল্লাহ রেজেক হতে  বঞ্চিত করেন না। মিথ্যার বিরুদ্ধে আল্লাহর অবস্থান থাকার পরও নাস্তিকদের তো রেজেক একদিনের তরেও
বন্ধ করেন না। কোরানের প্রথম অবস্থায় এবং অনেক বছর কোরানের জের,জবর,পেশ, ছোট মদ এবং বড় মদ কিছুই ছিল না। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ - এর সময় তিনিই প্রথম এগুলোর প্রচলন করেন। অথচ অবাক হই যখন সদরউদ্দিন আহমদ চিশতীর মত ইসলাম গবেষকও হাজ্জাজের দেওয়া সুন্নতটিকে লুফে নিলেন। এর বেশী কিছু লিখতে চাই না। কারণ যে যেভাবে বুঝেন সেভাবেই লিখেন। পরে অবশ্য শাহ সুফি সদরউদ্দিন আহমদ  চিশতীকে বুঝিয়ে দিতে পেরেছিলাম যে, এই জের, জবর, পেশ, ছোট মদ ও বড় মদগুলো ইসলামের হিটলার হাজ্জাজ বিন ইউসুফ দিয়ে গেছেন। কিন্তুু এই বিরাট ভূলটি সংশোধন করার সময় তিনি পান নাই। কারণ তিন মাসের মধ্যেই তিনি ইন্তেকাল করেন। তাই এই ভূলটি তার ভক্তদের মাঝে রয়েই গেল। চিশতী সাহেব ১৯৯২ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর হতে আর একটিও মুরিদ করেন নাই। অতি উৎসাহী ভক্তরা উনার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে মুরিদ করার নব বিধানটি আবিস্কার করেন। গ্রাহামবেল টেলিফোন আবিস্কার করেন। তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর নাম ছিলো হ্যালো। প্রিয়তমা স্ত্রীকে প্রথম ফোনটি করে বলেছিলেন, হ্যালো হাউ আর ইউ? আজ চিশতী সাহেব ঐ গ্রাহামবেলের মতো ছোট মদ, বড় ছোট আবিস্কার করে তার ভক্তদেরকে জানিয়ে দিলেন। এতো বড় মারাত্মক ভূলটি আজও তার মুরিদরা বহন করে চলছে। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাকে কেঁদে কেঁদে বলতে হচ্ছে যে, ইসলামের এতো বড় গবেষক সদরউদ্দিন চিশতী যিনি আমারই আপন চাচা এবং আমিই উনার প্রথম মুরিদ ছিলাম, আজ হতে ৬১ বছর আগে। সেই আপন চাচা সদরউদ্দিন আহমদ চিশতী এত বড় ভয়ঙ্কর ভূলটি করবেন, চিন্তাও করি নাই। চিশতী সাহেব হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে আল্লাহ বানিয়ে ফেলেছেন। কারণ কোরানের কথা আল্লাহর কথা। অথচ এই হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে ইসলামের সেই বিশেষ যুগের আধুনিক হিটলার বলে অনেকেই মন্তব্য করে থাকেন।

@ নাই নাই প্রতিটি লিখা পড়লেই আপনিই বুঝতে পারবেন পৃথিবীতে তাঁর জোড়া নাই।
  -------  শাহ্ সুফি সৈয়দ ময়েজউদ্দিন আল সুরেশ্বরী

সগীরে  আজম, জামালে কিবরিয়া, গোলামে হারিমেনাজ,ফজলে রাব্বানি , আমবারে ওয়ারসী, হেরমায়ে আবদাল, জানজিরে বেখুদি, লাসানিয়ে সিনানাথ, নূরে তাবাসসুম, মেহেতাব বিন্দাবাসি, দিলবারি পায়েন্দবাসি, আশেকা শারমিন্দাবাসি, গোলামে রিন্দী, পীরে এলমে লাহুতি,আম্বারে যিকরে মিম, জজবায়ে আশেকানা, ফিকরে জামালাস, ফিকরে উইসালাস, ফায়েজে মাহাবুবে এলাহী, খায়ের মাকদম,শারমি ফারোশাম, আমাদ তামামি, গোলামে ফা-কুম-কুম ইয়া হাবিবী, বা-হুসনে এহে্তেমামাত, তোফায়েলে দিগারা ইয়াবাত, মুফ্তা খারাজুয়ে, বেমেছালে লাজশরম, বারকাতকা এজাহার, জামালে এলাহিয়া, হালে মোরাকাবা, চেরাগে রওশন,জালুয়ায়ে নুরে এলাহী, বেনিয়াজ, গুলে বে- নাজির, গোলামে বাশানে বাশিরুন, হুব্বেতো মাস্তাম,গোলামে মাকসুদে হাকিকত, পারাস্তারে মহাব্বত, উলুলে মহাব্বত, মোহনী মুরাত, সোহনী সুরাত, বান্দা নেওয়াজ, জালুয়ায়ে দিল, আশিকে জামালে ইয়ার, গোলামে হাসান হোসাইন, ফসলে গুল, গাওহারে মানি, হাকিকাতে মুনতাজার , ছানাম আশেকা, হুব্বে মাকামে কিবরিয়া, মেরা ইমান আলি হ্যাঁয়, ফায়েজে মাহাবুবে জালাল নূরি আল সুরেশ্বরী, হুসনে সানাম, নুরকা পূতলা, সুরাতে বালিহারি, বান্দায়ে তাজদারে হারাম, চেরাগে মহাব্বত, জুলমাতমে নূর, পারাস্তারে সামাদ, গোলামে জুলজালাল,বান্দায়ে ইকরাম, বেখুদি এ সেতারা ও হেলাল, চেরাগে জান শরীফ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল ইবনে হেলাল গোলামে শাহ জালাল নূরী  আল সুরেশ্বরী।
(উনার রচিত ২৫ টি বই এবং ৬৫ ঘন্টার মেমোরিকার্ড টি শুনলেই আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন)।

"কালান্দার ড. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল"
বে-ঈমান হোমিও হল।
নিউ- এলিফ্যান্ট রোড, ১০৮
 ঢাকা-১২০৫

বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭

কী হাকছে ফারিশতাউনে ইকবাল কী গমমাজী।
গুশতাখ হ্যায় করতা হ্যায় ফিতরাত কী হিমা বান্দী।
খাকী হ্যায় মগার ইশকে আন্দাজ হ্যায় আফলাকী।
রুমী হ্যায় না শামী হ্যায় কাশী না সামারকান্দী।
সিখলাই ফারিশতাউকো আদম কী তরফ ইছনে।
আদম কো শিখাতা হ্যায় আদাবে খোদাওয়ান্দী।
হাকিমী নে মুসলমানী খুদী কী।
কালীমি রামজে পিনহানী খুদী কী।
তুঝে গুর ফখরে শাহী কা বাতাদো।
গরীবি নিগেবানী খুদী কী।
দায়ারে ইশক মে আপনা মাকাম প্যায়দা কর।।


কোন অধিকারে ফেরেশতারা ইকবালের অতীতের ভুলগুলোর হিসাব লিখবে..?
ভুলগুলোর মাঝে আমি তো আজন্ম বন্দি হয়েই আছি।
যদিও মাটির মানুষ আমি, কিন্তু প্রেম উঁচু আকাশের অধিবাসী করেছে..
আমি রুমিও নই,শামিও নই, কাশিও নই আর সামারকান্দিও নই।
ফেরেশতাদের কে শিখিয়ে দিলেন খোদা আদমের মর্যাদা সম্পর্কে।
তারপর আদম কে শিখিয়ে দিলেন কেমন করে খোদার নৈকট্য পাওয়া যায়।
খোদা তোমার রহস্যময় পোশাকের ভেতরেই তোমার আমিটির ভেতর লুকিয়ে আছেন।
তুমি তোমার বুজর্গির অহঙ্কারের বিষয়টি আমায় বলবে..?
অথচ তুমি গরিব আমিটির মাঝেই তোমাকে দেখতে চেষ্টা কর।
জাগ্রত রুহের অধিকারী (প্রেমমন্দির,কামেল গুরু)প্রেমে আপন ঘরটিকে নুরময় করে তোল।


না তু জমি কে লিয়ে হ্যায় না আসমাকে লিয়ে।
জাহাঁ হ্যায় তেরে লিয়ে তু নেহী জাহাঁকে লিয়ে।
সেতারোঁ সে আগে জাহাঁ আওর ভী হ্যায়।
আভী ইশক কী ইনতেহা আউর ভী হ্যায়  ইয়ে হিকমতে মালাকুতী ইয়ে ইলমে লাহুতী।
হারাম কে দরদকা দারমা নেহী তো কুচ ভী নাহী।
ইয়ে জিকরে মীম সাবী ইয়ে বোরাক  বে সারুর।
তেরী খুদী কে নিগেবা নেহী তো কুচ ভী নেহী।
খিরাদ মে ক্যাহ দিয়া লা ইলাহা কো কিয়া হাসিল দিলো নিগাহ মুসলমা নেহী তো কুচ ভী নেহী।
নয়া জামানা লায়ে ফিতরত ছে নাজ বেখুদকো সখুকে লালা হো গুলসে কালাম প্যায়দা কর।
উঠা না সীসা জারা ম্যায় ফরেন দেখে গা।
ছাপালে পাকছে মিনা ওয়া জাম প্যায়দা কর তেরা তারিকা আমিরী নেহী ফকিরী হ্যায় খুদী না বেচে গরিবী মে নাম প্যায়দা কর।
দায়ারে ইশক মে আপন মাকাম প্যায়দা কর।।


তোমাকে এই পৃথিবীর তরে নহে আর ঐ আকাশের তরেও নহে।
পৃথিবীটা তোমারই জন্য তুমি পৃথিবীর জন্য নহে।
তারকা-রাজ্যের উর্ধ্বে আরও সৃষ্টিজগত রহিয়াছে।
জেনে রাখ প্রেমের পরীক্ষা তাহারও উর্ধ্বে অবস্থান করে।
ইহা ফেরেশতা রাজ্যের রহস্যময় হিকমত,ইহা নাই রাজ্যের জ্ঞান।
হৃদয়ের অনুভূতি না থাকলে তো আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
ইহা মিমেরই স্মরণ একমাত্র প্রশংসা ইহাই দ্রুতগামী বোরাক।
তোমার আমিটার প্রতি যদি দৃষ্টি না থাকে তো কিছুই রইলো না।
সকাল-সন্ধ্যায় তুমি তোমার নবযুগের সূচনা কর।
যদি খোদা ইচ্ছা করেন তো তিনি তোমার সুন্দর আমিত্বের বিনাশ করতে পারেন।
যদি তুমি তোমার আমিত্বের পরদাটুকু একটুখানি উঠাইতে পার তা হলে সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাবে।
তাহা হইলে তুমি তোমার বিদগ্ধ দাসত্বে থাকিয়াও ফুলের মাঝে কালাম (বাণী) সৃষ্টি করতে পার।(অধম লিখক এই বাক্যটি বুঝতে না পেরে অনুমানে লিখলাম,সুতরাং ভুল থাকাটাই স্বাভাবিক)।
তুমি তোমার জুব্বার ভেতরে রাখা পানপাত্রটিকে যদি পবিত্র করতে পার।
তোমার পথ তো আমিরি নহে,বরং ফকিরিই তোমার জন্য প্রযোজ্য।
তোমার স্বকীয়তাটিকে বিক্রি না করে বরং গরিবির খাতায় নাম লিখে নাও।