নফ্স ও রুহের পার্থক্য - ৬
পৃথিবীতে এই প্রথম নফস ও রূহের বিস্ময়কর ব্যাখ্যা।
সারাটি জীবন আপন পীরকে বাবা বাবা বলে ডাকলেন অথচ পেলেন না কিছুই। এই বাবা বলে ডেকে কোনো লাভ নেই। এখানে পীর বড় নয়, সত্য পাওয়াটাই বড়। তাই একটি পর একটি পীর বদলিয়ে ফেলুন।
------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
নকশেবন্দি- মুজাদ্দেদি তরিকা, চিশতিয়া-কাদেরিয়া তরিকা, আবু - উলাই তরিকা, কালান্দারিয়া তরিকার শান গেয়েই গেলেন , শান না গাইলেও কিছু আসে যায় না। প্রশ্ন হলো? আপনি তো তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে শুধু লাফালাফিই করেই গেলেন।
------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
আমার পীর বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অন্য পীরের তুলনা করাই যায় না। কারণ, কোরানে ২১ বার রুহ বিষয়ে বলা হয়েছে, এবং এই ২১ বারই একবচনে বলা হয়েছে রুহের বহুবচন নাই । রুহ ফুৎকার করা হয়– নফস নয় । এই বিষয়ে অবাক করা ব্যাখ্যাটি সমগ্র পৃথিবীতে আমার বাবাই দিয়ে গেছেন। কথাটি শুনতে ভাল লাগবে না, কিন্তু আসলে ইহা একটি তিক্ত সত্য কথা। আমার পীর বাবার পঁচিশটি বই কোরানের পনের পারার অনুবাদ কিছুটা ব্যাখ্যা এবং আট জি.বি তেষট্টি ঘন্টার মেমোরিকার্ডটি শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন আমার কথার সত্যতাটি।
-------শাহ সূফি ময়েজউদ্দিন আল সুরেশ্বরী।
যারা অজানা কিছু জানতে আগ্রহী
তাদেরকে বলছি, সবাইকে নয়।
তোমার পীর যত বড় পীরই হোক না কেন
যদি তুমি তার থেকে সত্য না পাও তবে
ফেলে দাও তাকে। কারণ পীর এখানে মুখ্য
বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো সত্য পাওয়া।
সত্য হলো আল্লাহর রহস্য লোকের কিছু জানা।
সুরেশ্বরীর শান কত বড় রে, ভান্ডারীর শান
কত বড় রে, খাজা বাবার শান কত বড় রে,
শান বললেও আছে, না বললেও আছে, তুমি
কি ঘোড়ার ডিমটা পাইলা। তুমিতো বকরির
তিন নম্বর বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে পীরের
বাড়িতে গিয়ে শুধু লাফালাফিই করে গেলা।
আসো বসো মুরিদ হও, ধ্যান-সাধনা কর, যদি
আল্লাহর রহস্যলোকের কিছুই না পাও
আমাকে ফেলে চলে যাও। এখানে পীর বড়
নয় এখানে সত্য বড়। সারা জীবন বাবা
বাবা ডাকবা পাইবা না ঘোড়ার ডিমও
সেই বাবা ডাইকা কোন লাভ নাই।
--------কালান্দার ডাঃ বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল
পরমের অতি কাছেই যে রহস্যটি লুকিয়ে আছে উহাই বলে দেয় আমিই একমাত্র রহস্য।
~আল্লামা ইকবাল
যে পীর মুরিদের ধন-সম্পদের দিকে তাকায় বলে দাও সে দুনিয়াদার মরদুদ (মরদুদ শয়তান)
--------কালান্দার ডাঃ বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল
রুহের পরিপূর্ণ দর্শনটিকেই আমরা তথা মুসলমানেরা নুরে মুহাম্মদির দর্শন বলে থাকি। আবার অন্য যে-কোনো ধর্মের যে –কোনো সাধক যদি পরিপূর্ণ রুহের দর্শনটি লাভ করে থাকেন আর যদি সেই ধর্মের প্রবর্তকের নামে নুরটির নামকরণ করে থাকেন তা হলে আমার বলার কিছু থাকে না। কারণ আল্লাহ এক. তাঁর নুরও এক এবং বীজরূপী রুহের অবস্থানটিও এক। এখানে দুইয়ের কেনো স্থান নাই। দুইয়ের স্থানটিকে স্বীকার করে নিলেই শেরেক করা হয়ে যায়। ইহাই আসল শেরেক। মুখের কথায় শেরেকের কোনো দাম নাই।
এই আয়াতে বর্ণিত রুহ শব্দটির মর্মার্থ বুঝতে না পেরে অনেক অনুবাদক এই রুহকেই ‘ওহি’ অনুবাদ করেছেন। কোথায় রুহ আর কোথায় ওহি! আল্লাহ কি রুহের স্থলে ওহি শব্দটি বলতে পারতেন না? অবশ্য না বোঝার কারণেই এ রকম গোঁজামিল দাঁড় করানো হয়। তবু একটিবারের তরেও এই অনুবাদকারীরা ভুলেও বলতে চাইবেন না যে ইহার অর্থটি জানা নাই। ইনারা সব কিছু জানেন, তাই রুহকেও প্রয়োজনে ওহি লিখে ফেলেন । সুতরাং , এ-রকম অনুবাদ পড়ে আপনি আর আমি যে কত রকম ভুল শিখছি তারও হিসাব নাই। যেমন কোরান-এর সুরা বনি ইসরাইল-এর আটাত্তর নম্বর আয়াতের কোরান-কে বেশিরভাগ অনুবাদকারী ‘নামাজ ‘অনুবাদ করে ফেলেছেন এবং কোরান-কে নামাজ অনুবাদ করার কারণটির একবোঝা ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ আপনাকে আর আমাকে শুনিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে দেন। আবার, এই ‘রুহ' শব্দটিকেই অনেক অনুবাদকারী বুঝতে না পেরে রুহের অনুবাদে জিবরাইল নামক ফেরেশতাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। অথচ আমরা সবাই জানি যে জিবরাইল ফেরেশতা যতই মর্যাদার অধিকারী হোন না কেন, জিবরাইল ফেরেশতার মাঝে রুহও নাই এবং নফসও নাই। এ যেন অন্ধকে সুন্দর দুটি চোখের অধিকারী বলার মতো। এ যেন টুণ্ডা ছেলেকে ‘হাঁটিবার নূতন স্টাইল দেখানো হচ্ছে' বলে বোঝানো।
কোরান-এর আটাত্তর নম্বর সুরা নাবা-র আটত্রিশ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে : ইয়াওমা (সেই দিনটিতে) ইয়াকুমুর(দাঁড়াইবে) রুহ (রুহ) ওয়াল (এবং) মালাইকাতু(ফেরেশতারা) সাফফাললা (সারিবদ্ধভাবে)।
-সেই দিনটিতে রুহ এবং ফেরেশতারা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়াইবে।
এই আয়াতে একটি বিষয় লক্ষ্য করার মতো আর তা হলো, রুহকেও দাঁড়াবার কথাটি বলা হয়েছে এবং রুহের সঙ্গে ফেরেশতাদেরও সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর কথাটি উল্লখ করা হয়েছে। এখানে নফসের দাঁড়াবার কথাটি বলা হয় নাই । অথচ নফসেরই দাঁড়াবার কথা। যে-সাধকের নফসটি খান্নাসমুক্ত হয়ে পবিত্র হয়েছে সেই নফসটি তখন রুহের মহাশক্তির মাঝে সম্পূর্ণরূপে ডুবে যায় ।তখন মনে হয় নফস দাঁড়িয়ে আছে: আসলে রুহের মহাশক্তির মাঝে অবস্থান করছে। কোরান-এর অন্যত্র বলা হয়েছে যে, আপনি ছুঁড়ে মারেন নি , বরং আমি (আল্লাহ) স্বয়ং ছুঁড়ে মেরেছি। সাধারণ মানুষ হতে বিজ্ঞলোকেরা পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে যে , মহানবি হাত দিয়ে ছুঁড়ে মারছেন , অথচ আল্লাহ অস্বীকার করে বলছেন যে , ওটা আপনার হাত নয়, বরং ওটা আমার হাত । সেই রকম খান্নাসমুক্ত রুহ-এর জাগ্রত পরিপূর্ণতায় নফসটি ডুবে থাকলে রুহের দাঁড়ানোর কথাটি একান্ত স্বাভাবিক। এবং ফেরেশতাদের দাঁড়াবার বিষয়টি এখানে স্বাভাবিক একটি বিষয়। কারণ, ফেরেশতারা নফস–ও রুহ- বর্জিত আল্লাহর সেফাতি নুরের তৈরি কুদরতি রোবট। কুদরতি রোবট এ-জন্যই বলা হলো যে ফেরেশেতাদের ভালো এবং মন্দ কিছুই করার ক্ষমতা নাই, বরং আল্লাহ যে হুকুমটি করবে উহাই পালন করতে বাধ্য থাকবে। সুতরাং , সারিবদ্ধভাবে ফেরেসতারাও দাঁড়াবে ইহাতে অবাক হবার কিছু নাই ।
জাগ্রত রুহের অধিকারী সাধকেরা আকৃতিতে মানব হলেও মানবের স্বাভাবিক ভাবভঙ্গি হতে সম্পূর্ণ বর্জিত অবস্থায় অবস্থান করে। এই জাতীয় সাধকদেরকে বান্দানেওয়াজ বলা হয়; আবার কখনো ওয়াজহুল্লাহ বলা হয়: আবার কখনো সারাপা বলা হয়: আবার কখনো নরেররূপে নারায়ণ বলা হয়ে থাকে। কারণ, এই সাধকেরাই আল্লাহর রূপটি ধারণ করে আছেন। এই জাতীয় অনেক সাধকেরা এক ও অভিন্ন। কারণ সব সাধকই একই নুরের অধিকারী। এজন্য বিশেষভাবে আরেকটু লক্ষ করার মতো বিষয়টি হলো, রুহ শব্দটি কোরানুল হাকিম-এ একটিবারের তরেও বহুবচনে ব্যবহার করা হয় নাই । ইহারা সবাই মিলে ‘আমরা’-রূপটি ধারণ করে। আসলে এই‘আমরা’ই এক ও অভিন্ন। এইখানে এসেই শেরেকের হয় অবসান। যদিও সাধারণ মানুষের পক্ষে এই বিষয়টি বোঝা একটু কষ্টকর বৈকি।
কোরান-এ ‘আমরা’ নামক বহুবচনের ব্যবহারটিতে একটি বিস্ময়কর সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। এই বিস্ময়কর কোরান-এর সৌন্দর্যটি বুঝতে না পারলে তৌহিদের আসল এবং রহস্যময় রূপটি উপলব্ধি করা প্রায় এক রকম অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
আবার কোরান-এর অনেক অনুবাদক ফেশেতাদের দাঁড়াবার কথাটি মেনে নেয় , কিন্তু তারপরেই রুহকে জিবরাইল অনুবাদ করে। জিবরাইলও যে একজন ফেরেশতা ইহা তারা জেনেও না জানার ভান করে। আল্লাহ কি রুহের স্থলে জিবরাইল নামক বিশেষ ফেরেশতাটির নাম উল্লেখ করতে পারতেন না? কিন্তু কোরান–এ রুহ শব্দটি ব্যবহার করলে কী হবে, অনুবাদে অনুবাদক রুহকে জিবরাইল ফেরেশতা অনুবাদ করে ফেলেন। কেন এই রকম করেন বলে প্রশ্ন করলে একবোঝা গোঁজামিল দেওয়া কথা শুনিয়ে দেবেন, তবু নিজেদের ভুলটি মোটেই স্বীকার করে নেবেন না, অথবা ‘বুঝতে পারলাম না’ বলে সৎ সাহস নিয়ে ঘোষণাও করেন না। এভাবে কোরান-এর কত শব্দের যে কত রকম বিকৃত অর্থের দ্বারা ভরে রাখে তারই বা প্রতিবাদ কে করে? এই রকম অনুবাদকদেরকে জ্ঞানপাপী বলতে চাই না , কিন্তু এ-রকম করাটি কি বিভ্রান্তি ছড়ায় না? এই রকম বিভ্রান্তির জাঁতাকলে পড়ে কত সহজ-সরল মানুষেরা যে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তারই বা খবর কে রাখেন? একটিবারের তরে চিন্তা করে দেখুন তো যে, প্রথমেই বলা হয়েছে ফেরেশতাগণ এবং তারপরে বলা হয়েছে রুহ, আর সেই রুহের অনুবাদটি করা হলো জিবরাইল নামক ফেরেশতা। অনুবাদক কি বেমালুম ভুলে গেছেন যে জিবরাইল ফেরেশতার রুহও নাই এবং নফসও নাই? যেখানে জিবরাইল ফেরেশতার রুহটি থাকার প্রশ্নই ওঠে না সেখানে রুহকে কেমন করে জিবরাইল ফেরেশেতা বলে অনুবাদ করা হয়?
কোরান –এর একুশ নম্বর সূরা আম্বিয়ার একানব্বই নম্বর আয়াতে আছে: ওয়া(এবং) ল্লাতি (যে) আহসানাত (রক্ষা করিয়াছিল, সংরক্ষন করিয়াছিল, বজায় রাখিয়াছিল, টিকাইয়া রাখিয়াছিল) ফারজাহা (তাহার কামপ্রবৃত্তিকে , তাহার সতীত্বকে , যৌন সম্ভোগকে ) ফানাফাখনা (সুতরাং আমরা [আল্লাহ] ফুৎকার দিয়াছিলাম) ফিহা (তাহার [মরিয়ম] মধ্যে) মিন (হইতে) রুহিনা (আমাদের রুহ) ওয়া (এবং) জাআলনাহা (তাহাকে বানাইয়াছিলাম) ওয়া (এবং) আবনাহা (তাহার পুত্রকে) আয়াতাল (একটি আয়াত নিদর্শন] ) লিল (জন্য) আলামিন (সমস্ত আলমের , বিশ্ববাসীদের )।
-এবং যিনি (মরিয়ম) তাহার সতীত্বকে রক্ষা করিয়াছিলেন সুতরাং আমরা ফুৎকার দিলাম তাহার মধ্যে আমাদের রুহ হইতে এবং তাহাকে বানাইয়াছিলাম এবং তাহার পুত্রকে একটি আয়াত সমস্ত আলমের জন্য।
এই আয়াতটির সামান্য ব্যাখ্যা লিখতে গিয়ে প্রথমেই বলতে হয় যে, আল্লাহ কেবলমাত্র পুরুষদের মধ্যেই রুহ ফুৎকার করেন না, বরং মানুষের তৈরি সমাজে অবহেলিত নারীর মধ্যেও আল্লাহ রুহ ফুৎকার করেন। নারী জাতিকে দুর্বল পেয়ে পুরুষরা নারীদেরকে সমাজের বুকে তেমন মর্যাদা দেয় না, কিন্তু এই আয়াতে আমরা দেখতে পাই যে নারীর মধ্যেও আল্লাহ রুহ ফুৎকার করেন। যদি সেই নারী আল্লাহর দৃষ্টিতে রুহ ফুৎকার করার উপযুক্ত হন তো অবশ্যই রুহ ফুৎকার করা হয়। আমরা কোরান হতে জানতে পারি যে আল্লাহ প্রথম রুহ ফুৎকারটি আদমের মধ্যে করেছিলেন। আরও একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন যে, এখানে তথা এই আয়াতে নফস ফুৎকার করার কথাটি বলা হয়নি এবং নফস ফুৎকার করার প্রশ্নই ওঠে না, কারণ আল্লাহর কোনো নফস নাই। যেহেতু আল্লাহর কোনো নফসই নাই, সুতরাং ফুৎকার দেবার প্রশ্নই ওঠে না। নফস জীবন-মৃত্যুর অধীন । নফস সুখ-দুঃখ ভোগ করে। নফসের ক্লান্তি –অবসাদ -ঘুম- আলস্য আছে। সুতরাং আল্লাহ এই সব বিষয় হতে সম্পূর্ণ মুক্ত।
সগীরে আজম, জামালে কিবরিয়া, গোলামে হারিমেনাজ,ফজলে রাব্বানি , আমবারে ওয়ারসী, হেরমায়ে আবদাল, জানজিরে বেখুদি, লাসানিয়ে সিনানাথ, নূরে তাবাসসুম, মেহেতাব বিন্দাবাসি, দিলবারি পায়েন্দবাসি, আশেকা শারমিন্দাবাসি, গোলামে রিন্দী, পীরে এলমে লাহুতি,আম্বারে যিকরে মিম, জজবায়ে আশেকানা, ফিকরে জামালাস, ফিকরে উইসালাস, ফায়েজ মাহাবুবে এলাহী, খায়ের মাকদম,শারমি ফারোশাম, আমাদ তামামি, গোলামে ফা-কুম-কুম ইয়া হাবিবী, বাহুসনে এহে্তেমামত, তোফায়েলে দিগারা ইয়াবাত, মুফ্তা খারাজুয়ে, বেমেছালে লাজশরম, বারকাতকা এজাহার, জামালে এলাহিয়া, হালে মোরাকাবা, চেরাগে রওশন,জালুয়ায়ে নুরে এলাহী, বেনিয়াজ, গুলে বে নাজির, গোলামে বাশানে বাশিরুন, হুব্বেতো মাস্তাম,গোলামে মাকসুদে হাকিকত, পারাস্তারে মহাব্বত, উলুলে মহাব্বত, মোহনী মুরাত, সোহনী সুরাত, বান্দা নেওয়াজ, জালুয়ায়ে দিল, আশিকে জামালে ইয়ার, গোলামে হাসান হোসাইন, ফসলে গুল, গাওহারে মানি, হাকিকাতে মুনতাজার , ছানাম আশেকা, হুব্বে মাকামে কিবরিয়া, মেরা ইমান আলি হ্যাঁয়, ফায়েজে মাহাবুবে জালাল নূরি আল সুরেশ্বরী, হুসনে সানাম, নুরকা পূতলা, সুরাতে বালিহারি, বান্দায়ে তাজদারে হারাম, চেরাগে মহাব্বত, জুলমাতমে নূর, পারাস্তারে সামাদ, গোলামে জুলজালাল,বান্দায়ে ইকরাম, বেখুদি এ সেতারা ও হেলাল, চেরাগে জান শরীফ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল ইবনে হেলাল গোলামে শাহ জালাল নূরী আল সুরেশ্বরী।
(উনার রচিত ২৫ টি বই এবং ৬৩ ঘন্টার মেমোরিকার্ড টি শুনলেই আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন)।
পাগল হয়ে যাব, এত উচ্চমানের লিখা মাথায় আঁটে না। নফস ও রূহের পার্থক্য বিষয়ের উপর লিখতে গিয়ে বাবা জাহাঙ্গীর তাঁর কোরানুল মাজিদের ৬৩ নং পৃষ্ঠায় নিম্নোক্ত লিখাটির অবতারণা করেছেন। "Religious view of World Theology" ক্লাসে আমার ম্যাডামকে ( কোন এক কারণে তাঁর নামটি উল্লেখ করা হল না) এ লেখাটা দেখিয়েছিলাম আর বলেছিলাম আমাকে বুঝিয়ে দিন, প্রত্যুত্তরে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থেকে বললেন, "সারাজীবন ভাত খাওয়ার জন্য বিদ্যার্জন করে গেছি, কিন্তু, এ লেখাটা সক্রেটিস শ্রেণির লোকের লেখা যিনি নিজেকে চিনেছেন, এটা রেনে দেকার্তের মতো দার্শনিকদের দর্শন থেকে আরো উচ্চতম দর্শনের লেখা, এটা ডেভিড হিউম আর কান্টদের থেকে অারো অনেক উপরের লেখা, এখানে সমস্ত সন্দেহের অবসান ঘটেছে, এখানে মিলনের প্রশ্নে পুরোটাই Eternal Entity, এখানে দেহধারী মানুষটা নি:সন্দেহে পরমসত্ত্বার প্রতিমূর্তি, যদি তোমার সাথে তাঁর সাক্ষাত হয় তো আমার সালাম পৌঁছে দিও।
আসলে উলঙ্গ সত্য কথাটি বলতে গেলে বলতে হয় যে, রুহুল অামিন হলেন মহানবির অাপন অাধ্যাত্মিক প্রতিচ্ছবি। ইহা জগৎময় ব্যক্তও হতে পারে, আবার যেকোন মূর্তি ধারণও করতে পারে। ইহা স্থান-কালের (টাইম এন্ড স্পেস) সব রকম মানুষের আদি ও আসল রূপ। এইরূপের মাঝে প্রত্যাবর্তন করাই মানবজীবনের পরম এবং চরম স্বার্থকতা। অাল্লাহর নিকট মানুষের প্রত্যাবর্তন করার তথা ফিরে আসার অর্থটিও ইহাই।
ভক্ত Aaga Bagalane (আগা বাগালেন) র কমেন্টটি তুলে ধরলাম,
পৃথিবীতে এই প্রথম নফস ও রূহের বিস্ময়কর ব্যাখ্যা।
সারাটি জীবন আপন পীরকে বাবা বাবা বলে ডাকলেন অথচ পেলেন না কিছুই। এই বাবা বলে ডেকে কোনো লাভ নেই। এখানে পীর বড় নয়, সত্য পাওয়াটাই বড়। তাই একটি পর একটি পীর বদলিয়ে ফেলুন।
------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
নকশেবন্দি- মুজাদ্দেদি তরিকা, চিশতিয়া-কাদেরিয়া তরিকা, আবু - উলাই তরিকা, কালান্দারিয়া তরিকার শান গেয়েই গেলেন , শান না গাইলেও কিছু আসে যায় না। প্রশ্ন হলো? আপনি তো তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে শুধু লাফালাফিই করেই গেলেন।
------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
আমার পীর বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অন্য পীরের তুলনা করাই যায় না। কারণ, কোরানে ২১ বার রুহ বিষয়ে বলা হয়েছে, এবং এই ২১ বারই একবচনে বলা হয়েছে রুহের বহুবচন নাই । রুহ ফুৎকার করা হয়– নফস নয় । এই বিষয়ে অবাক করা ব্যাখ্যাটি সমগ্র পৃথিবীতে আমার বাবাই দিয়ে গেছেন। কথাটি শুনতে ভাল লাগবে না, কিন্তু আসলে ইহা একটি তিক্ত সত্য কথা। আমার পীর বাবার পঁচিশটি বই কোরানের পনের পারার অনুবাদ কিছুটা ব্যাখ্যা এবং আট জি.বি তেষট্টি ঘন্টার মেমোরিকার্ডটি শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন আমার কথার সত্যতাটি।
-------শাহ সূফি ময়েজউদ্দিন আল সুরেশ্বরী।
যারা অজানা কিছু জানতে আগ্রহী
তাদেরকে বলছি, সবাইকে নয়।
তোমার পীর যত বড় পীরই হোক না কেন
যদি তুমি তার থেকে সত্য না পাও তবে
ফেলে দাও তাকে। কারণ পীর এখানে মুখ্য
বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো সত্য পাওয়া।
সত্য হলো আল্লাহর রহস্য লোকের কিছু জানা।
সুরেশ্বরীর শান কত বড় রে, ভান্ডারীর শান
কত বড় রে, খাজা বাবার শান কত বড় রে,
শান বললেও আছে, না বললেও আছে, তুমি
কি ঘোড়ার ডিমটা পাইলা। তুমিতো বকরির
তিন নম্বর বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে পীরের
বাড়িতে গিয়ে শুধু লাফালাফিই করে গেলা।
আসো বসো মুরিদ হও, ধ্যান-সাধনা কর, যদি
আল্লাহর রহস্যলোকের কিছুই না পাও
আমাকে ফেলে চলে যাও। এখানে পীর বড়
নয় এখানে সত্য বড়। সারা জীবন বাবা
বাবা ডাকবা পাইবা না ঘোড়ার ডিমও
সেই বাবা ডাইকা কোন লাভ নাই।
--------কালান্দার ডাঃ বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল
পরমের অতি কাছেই যে রহস্যটি লুকিয়ে আছে উহাই বলে দেয় আমিই একমাত্র রহস্য।
~আল্লামা ইকবাল
যে পীর মুরিদের ধন-সম্পদের দিকে তাকায় বলে দাও সে দুনিয়াদার মরদুদ (মরদুদ শয়তান)
--------কালান্দার ডাঃ বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল
রুহের পরিপূর্ণ দর্শনটিকেই আমরা তথা মুসলমানেরা নুরে মুহাম্মদির দর্শন বলে থাকি। আবার অন্য যে-কোনো ধর্মের যে –কোনো সাধক যদি পরিপূর্ণ রুহের দর্শনটি লাভ করে থাকেন আর যদি সেই ধর্মের প্রবর্তকের নামে নুরটির নামকরণ করে থাকেন তা হলে আমার বলার কিছু থাকে না। কারণ আল্লাহ এক. তাঁর নুরও এক এবং বীজরূপী রুহের অবস্থানটিও এক। এখানে দুইয়ের কেনো স্থান নাই। দুইয়ের স্থানটিকে স্বীকার করে নিলেই শেরেক করা হয়ে যায়। ইহাই আসল শেরেক। মুখের কথায় শেরেকের কোনো দাম নাই।
এই আয়াতে বর্ণিত রুহ শব্দটির মর্মার্থ বুঝতে না পেরে অনেক অনুবাদক এই রুহকেই ‘ওহি’ অনুবাদ করেছেন। কোথায় রুহ আর কোথায় ওহি! আল্লাহ কি রুহের স্থলে ওহি শব্দটি বলতে পারতেন না? অবশ্য না বোঝার কারণেই এ রকম গোঁজামিল দাঁড় করানো হয়। তবু একটিবারের তরেও এই অনুবাদকারীরা ভুলেও বলতে চাইবেন না যে ইহার অর্থটি জানা নাই। ইনারা সব কিছু জানেন, তাই রুহকেও প্রয়োজনে ওহি লিখে ফেলেন । সুতরাং , এ-রকম অনুবাদ পড়ে আপনি আর আমি যে কত রকম ভুল শিখছি তারও হিসাব নাই। যেমন কোরান-এর সুরা বনি ইসরাইল-এর আটাত্তর নম্বর আয়াতের কোরান-কে বেশিরভাগ অনুবাদকারী ‘নামাজ ‘অনুবাদ করে ফেলেছেন এবং কোরান-কে নামাজ অনুবাদ করার কারণটির একবোঝা ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ আপনাকে আর আমাকে শুনিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে দেন। আবার, এই ‘রুহ' শব্দটিকেই অনেক অনুবাদকারী বুঝতে না পেরে রুহের অনুবাদে জিবরাইল নামক ফেরেশতাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। অথচ আমরা সবাই জানি যে জিবরাইল ফেরেশতা যতই মর্যাদার অধিকারী হোন না কেন, জিবরাইল ফেরেশতার মাঝে রুহও নাই এবং নফসও নাই। এ যেন অন্ধকে সুন্দর দুটি চোখের অধিকারী বলার মতো। এ যেন টুণ্ডা ছেলেকে ‘হাঁটিবার নূতন স্টাইল দেখানো হচ্ছে' বলে বোঝানো।
কোরান-এর আটাত্তর নম্বর সুরা নাবা-র আটত্রিশ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে : ইয়াওমা (সেই দিনটিতে) ইয়াকুমুর(দাঁড়াইবে) রুহ (রুহ) ওয়াল (এবং) মালাইকাতু(ফেরেশতারা) সাফফাললা (সারিবদ্ধভাবে)।
-সেই দিনটিতে রুহ এবং ফেরেশতারা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়াইবে।
এই আয়াতে একটি বিষয় লক্ষ্য করার মতো আর তা হলো, রুহকেও দাঁড়াবার কথাটি বলা হয়েছে এবং রুহের সঙ্গে ফেরেশতাদেরও সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর কথাটি উল্লখ করা হয়েছে। এখানে নফসের দাঁড়াবার কথাটি বলা হয় নাই । অথচ নফসেরই দাঁড়াবার কথা। যে-সাধকের নফসটি খান্নাসমুক্ত হয়ে পবিত্র হয়েছে সেই নফসটি তখন রুহের মহাশক্তির মাঝে সম্পূর্ণরূপে ডুবে যায় ।তখন মনে হয় নফস দাঁড়িয়ে আছে: আসলে রুহের মহাশক্তির মাঝে অবস্থান করছে। কোরান-এর অন্যত্র বলা হয়েছে যে, আপনি ছুঁড়ে মারেন নি , বরং আমি (আল্লাহ) স্বয়ং ছুঁড়ে মেরেছি। সাধারণ মানুষ হতে বিজ্ঞলোকেরা পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে যে , মহানবি হাত দিয়ে ছুঁড়ে মারছেন , অথচ আল্লাহ অস্বীকার করে বলছেন যে , ওটা আপনার হাত নয়, বরং ওটা আমার হাত । সেই রকম খান্নাসমুক্ত রুহ-এর জাগ্রত পরিপূর্ণতায় নফসটি ডুবে থাকলে রুহের দাঁড়ানোর কথাটি একান্ত স্বাভাবিক। এবং ফেরেশতাদের দাঁড়াবার বিষয়টি এখানে স্বাভাবিক একটি বিষয়। কারণ, ফেরেশতারা নফস–ও রুহ- বর্জিত আল্লাহর সেফাতি নুরের তৈরি কুদরতি রোবট। কুদরতি রোবট এ-জন্যই বলা হলো যে ফেরেশেতাদের ভালো এবং মন্দ কিছুই করার ক্ষমতা নাই, বরং আল্লাহ যে হুকুমটি করবে উহাই পালন করতে বাধ্য থাকবে। সুতরাং , সারিবদ্ধভাবে ফেরেসতারাও দাঁড়াবে ইহাতে অবাক হবার কিছু নাই ।
জাগ্রত রুহের অধিকারী সাধকেরা আকৃতিতে মানব হলেও মানবের স্বাভাবিক ভাবভঙ্গি হতে সম্পূর্ণ বর্জিত অবস্থায় অবস্থান করে। এই জাতীয় সাধকদেরকে বান্দানেওয়াজ বলা হয়; আবার কখনো ওয়াজহুল্লাহ বলা হয়: আবার কখনো সারাপা বলা হয়: আবার কখনো নরেররূপে নারায়ণ বলা হয়ে থাকে। কারণ, এই সাধকেরাই আল্লাহর রূপটি ধারণ করে আছেন। এই জাতীয় অনেক সাধকেরা এক ও অভিন্ন। কারণ সব সাধকই একই নুরের অধিকারী। এজন্য বিশেষভাবে আরেকটু লক্ষ করার মতো বিষয়টি হলো, রুহ শব্দটি কোরানুল হাকিম-এ একটিবারের তরেও বহুবচনে ব্যবহার করা হয় নাই । ইহারা সবাই মিলে ‘আমরা’-রূপটি ধারণ করে। আসলে এই‘আমরা’ই এক ও অভিন্ন। এইখানে এসেই শেরেকের হয় অবসান। যদিও সাধারণ মানুষের পক্ষে এই বিষয়টি বোঝা একটু কষ্টকর বৈকি।
কোরান-এ ‘আমরা’ নামক বহুবচনের ব্যবহারটিতে একটি বিস্ময়কর সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। এই বিস্ময়কর কোরান-এর সৌন্দর্যটি বুঝতে না পারলে তৌহিদের আসল এবং রহস্যময় রূপটি উপলব্ধি করা প্রায় এক রকম অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
আবার কোরান-এর অনেক অনুবাদক ফেশেতাদের দাঁড়াবার কথাটি মেনে নেয় , কিন্তু তারপরেই রুহকে জিবরাইল অনুবাদ করে। জিবরাইলও যে একজন ফেরেশতা ইহা তারা জেনেও না জানার ভান করে। আল্লাহ কি রুহের স্থলে জিবরাইল নামক বিশেষ ফেরেশতাটির নাম উল্লেখ করতে পারতেন না? কিন্তু কোরান–এ রুহ শব্দটি ব্যবহার করলে কী হবে, অনুবাদে অনুবাদক রুহকে জিবরাইল ফেরেশতা অনুবাদ করে ফেলেন। কেন এই রকম করেন বলে প্রশ্ন করলে একবোঝা গোঁজামিল দেওয়া কথা শুনিয়ে দেবেন, তবু নিজেদের ভুলটি মোটেই স্বীকার করে নেবেন না, অথবা ‘বুঝতে পারলাম না’ বলে সৎ সাহস নিয়ে ঘোষণাও করেন না। এভাবে কোরান-এর কত শব্দের যে কত রকম বিকৃত অর্থের দ্বারা ভরে রাখে তারই বা প্রতিবাদ কে করে? এই রকম অনুবাদকদেরকে জ্ঞানপাপী বলতে চাই না , কিন্তু এ-রকম করাটি কি বিভ্রান্তি ছড়ায় না? এই রকম বিভ্রান্তির জাঁতাকলে পড়ে কত সহজ-সরল মানুষেরা যে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তারই বা খবর কে রাখেন? একটিবারের তরে চিন্তা করে দেখুন তো যে, প্রথমেই বলা হয়েছে ফেরেশতাগণ এবং তারপরে বলা হয়েছে রুহ, আর সেই রুহের অনুবাদটি করা হলো জিবরাইল নামক ফেরেশতা। অনুবাদক কি বেমালুম ভুলে গেছেন যে জিবরাইল ফেরেশতার রুহও নাই এবং নফসও নাই? যেখানে জিবরাইল ফেরেশতার রুহটি থাকার প্রশ্নই ওঠে না সেখানে রুহকে কেমন করে জিবরাইল ফেরেশেতা বলে অনুবাদ করা হয়?
কোরান –এর একুশ নম্বর সূরা আম্বিয়ার একানব্বই নম্বর আয়াতে আছে: ওয়া(এবং) ল্লাতি (যে) আহসানাত (রক্ষা করিয়াছিল, সংরক্ষন করিয়াছিল, বজায় রাখিয়াছিল, টিকাইয়া রাখিয়াছিল) ফারজাহা (তাহার কামপ্রবৃত্তিকে , তাহার সতীত্বকে , যৌন সম্ভোগকে ) ফানাফাখনা (সুতরাং আমরা [আল্লাহ] ফুৎকার দিয়াছিলাম) ফিহা (তাহার [মরিয়ম] মধ্যে) মিন (হইতে) রুহিনা (আমাদের রুহ) ওয়া (এবং) জাআলনাহা (তাহাকে বানাইয়াছিলাম) ওয়া (এবং) আবনাহা (তাহার পুত্রকে) আয়াতাল (একটি আয়াত নিদর্শন] ) লিল (জন্য) আলামিন (সমস্ত আলমের , বিশ্ববাসীদের )।
-এবং যিনি (মরিয়ম) তাহার সতীত্বকে রক্ষা করিয়াছিলেন সুতরাং আমরা ফুৎকার দিলাম তাহার মধ্যে আমাদের রুহ হইতে এবং তাহাকে বানাইয়াছিলাম এবং তাহার পুত্রকে একটি আয়াত সমস্ত আলমের জন্য।
এই আয়াতটির সামান্য ব্যাখ্যা লিখতে গিয়ে প্রথমেই বলতে হয় যে, আল্লাহ কেবলমাত্র পুরুষদের মধ্যেই রুহ ফুৎকার করেন না, বরং মানুষের তৈরি সমাজে অবহেলিত নারীর মধ্যেও আল্লাহ রুহ ফুৎকার করেন। নারী জাতিকে দুর্বল পেয়ে পুরুষরা নারীদেরকে সমাজের বুকে তেমন মর্যাদা দেয় না, কিন্তু এই আয়াতে আমরা দেখতে পাই যে নারীর মধ্যেও আল্লাহ রুহ ফুৎকার করেন। যদি সেই নারী আল্লাহর দৃষ্টিতে রুহ ফুৎকার করার উপযুক্ত হন তো অবশ্যই রুহ ফুৎকার করা হয়। আমরা কোরান হতে জানতে পারি যে আল্লাহ প্রথম রুহ ফুৎকারটি আদমের মধ্যে করেছিলেন। আরও একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন যে, এখানে তথা এই আয়াতে নফস ফুৎকার করার কথাটি বলা হয়নি এবং নফস ফুৎকার করার প্রশ্নই ওঠে না, কারণ আল্লাহর কোনো নফস নাই। যেহেতু আল্লাহর কোনো নফসই নাই, সুতরাং ফুৎকার দেবার প্রশ্নই ওঠে না। নফস জীবন-মৃত্যুর অধীন । নফস সুখ-দুঃখ ভোগ করে। নফসের ক্লান্তি –অবসাদ -ঘুম- আলস্য আছে। সুতরাং আল্লাহ এই সব বিষয় হতে সম্পূর্ণ মুক্ত।
সগীরে আজম, জামালে কিবরিয়া, গোলামে হারিমেনাজ,ফজলে রাব্বানি , আমবারে ওয়ারসী, হেরমায়ে আবদাল, জানজিরে বেখুদি, লাসানিয়ে সিনানাথ, নূরে তাবাসসুম, মেহেতাব বিন্দাবাসি, দিলবারি পায়েন্দবাসি, আশেকা শারমিন্দাবাসি, গোলামে রিন্দী, পীরে এলমে লাহুতি,আম্বারে যিকরে মিম, জজবায়ে আশেকানা, ফিকরে জামালাস, ফিকরে উইসালাস, ফায়েজ মাহাবুবে এলাহী, খায়ের মাকদম,শারমি ফারোশাম, আমাদ তামামি, গোলামে ফা-কুম-কুম ইয়া হাবিবী, বাহুসনে এহে্তেমামত, তোফায়েলে দিগারা ইয়াবাত, মুফ্তা খারাজুয়ে, বেমেছালে লাজশরম, বারকাতকা এজাহার, জামালে এলাহিয়া, হালে মোরাকাবা, চেরাগে রওশন,জালুয়ায়ে নুরে এলাহী, বেনিয়াজ, গুলে বে নাজির, গোলামে বাশানে বাশিরুন, হুব্বেতো মাস্তাম,গোলামে মাকসুদে হাকিকত, পারাস্তারে মহাব্বত, উলুলে মহাব্বত, মোহনী মুরাত, সোহনী সুরাত, বান্দা নেওয়াজ, জালুয়ায়ে দিল, আশিকে জামালে ইয়ার, গোলামে হাসান হোসাইন, ফসলে গুল, গাওহারে মানি, হাকিকাতে মুনতাজার , ছানাম আশেকা, হুব্বে মাকামে কিবরিয়া, মেরা ইমান আলি হ্যাঁয়, ফায়েজে মাহাবুবে জালাল নূরি আল সুরেশ্বরী, হুসনে সানাম, নুরকা পূতলা, সুরাতে বালিহারি, বান্দায়ে তাজদারে হারাম, চেরাগে মহাব্বত, জুলমাতমে নূর, পারাস্তারে সামাদ, গোলামে জুলজালাল,বান্দায়ে ইকরাম, বেখুদি এ সেতারা ও হেলাল, চেরাগে জান শরীফ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল ইবনে হেলাল গোলামে শাহ জালাল নূরী আল সুরেশ্বরী।
(উনার রচিত ২৫ টি বই এবং ৬৩ ঘন্টার মেমোরিকার্ড টি শুনলেই আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন)।
পাগল হয়ে যাব, এত উচ্চমানের লিখা মাথায় আঁটে না। নফস ও রূহের পার্থক্য বিষয়ের উপর লিখতে গিয়ে বাবা জাহাঙ্গীর তাঁর কোরানুল মাজিদের ৬৩ নং পৃষ্ঠায় নিম্নোক্ত লিখাটির অবতারণা করেছেন। "Religious view of World Theology" ক্লাসে আমার ম্যাডামকে ( কোন এক কারণে তাঁর নামটি উল্লেখ করা হল না) এ লেখাটা দেখিয়েছিলাম আর বলেছিলাম আমাকে বুঝিয়ে দিন, প্রত্যুত্তরে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থেকে বললেন, "সারাজীবন ভাত খাওয়ার জন্য বিদ্যার্জন করে গেছি, কিন্তু, এ লেখাটা সক্রেটিস শ্রেণির লোকের লেখা যিনি নিজেকে চিনেছেন, এটা রেনে দেকার্তের মতো দার্শনিকদের দর্শন থেকে আরো উচ্চতম দর্শনের লেখা, এটা ডেভিড হিউম আর কান্টদের থেকে অারো অনেক উপরের লেখা, এখানে সমস্ত সন্দেহের অবসান ঘটেছে, এখানে মিলনের প্রশ্নে পুরোটাই Eternal Entity, এখানে দেহধারী মানুষটা নি:সন্দেহে পরমসত্ত্বার প্রতিমূর্তি, যদি তোমার সাথে তাঁর সাক্ষাত হয় তো আমার সালাম পৌঁছে দিও।
আসলে উলঙ্গ সত্য কথাটি বলতে গেলে বলতে হয় যে, রুহুল অামিন হলেন মহানবির অাপন অাধ্যাত্মিক প্রতিচ্ছবি। ইহা জগৎময় ব্যক্তও হতে পারে, আবার যেকোন মূর্তি ধারণও করতে পারে। ইহা স্থান-কালের (টাইম এন্ড স্পেস) সব রকম মানুষের আদি ও আসল রূপ। এইরূপের মাঝে প্রত্যাবর্তন করাই মানবজীবনের পরম এবং চরম স্বার্থকতা। অাল্লাহর নিকট মানুষের প্রত্যাবর্তন করার তথা ফিরে আসার অর্থটিও ইহাই।
ভক্ত Aaga Bagalane (আগা বাগালেন) র কমেন্টটি তুলে ধরলাম,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন