নফস ও রুহের-পার্থক্য - ৯
সারাটি জীবন আপন পীরকে বাবা বাবা বলে ডাকলেন অথচ পেলেন না কিছুই। এই বাবা বলে ডেকে কোনো লাভ নেই। এখানে পীর বড় নয়, সত্য পাওয়াটাই বড়। তাই একটি পর একটি পীর বদলিয়ে ফেলুন।
------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
নকশেবন্দি- মুজাদ্দেদি তরিকা, চিশতিয়া-কাদেরিয়া তরিকা, আবু - উলাই তরিকা, কালান্দারিয়া তরিকার শান গেয়েই গেলেন , শান না গাইলেও কিছু আসে যায় না। প্রশ্ন হলো? আপনি তো তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে শুধু লাফালাফিই করেই গেলেন।
------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
আমার পীর বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অন্য পীরের তুলনা করাই যায় না। কারণ, কোরানে ২১ বার রুহ বিষয়ে বলা হয়েছে, এবং এই ২১ বারই একবচনে বলা হয়েছে রুহের বহুবচন নাই । রুহ ফুৎকার করা হয়– নফস নয় । এই বিষয়ে অবাক করা ব্যাখ্যাটি সমগ্র পৃথিবীতে আমার বাবাই দিয়ে গেছেন। কথাটি শুনতে ভাল লাগবে না, কিন্তু আসলে ইহা একটি তিক্ত সত্য কথা। আমার পীর বাবার পঁচিশটি বই কোরানের পনের পারার অনুবাদ কিছুটা ব্যাখ্যা এবং আট জি.বি তেষট্টি ঘন্টার মেমোরিকার্ডটি শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন আমার কথার সত্যতাটি।
-------শাহ সূফি ময়েজউদ্দিন আল সুরেশ্বরী।
যারা অজানা কিছু জানতে আগ্রহী
তাদেরকে বলছি, সবাইকে নয়।
তোমার পীর যত বড় পীরই হোক না কেন
যদি তুমি তার থেকে সত্য না পাও তবে
ফেলে দাও তাকে। কারণ পীর এখানে মুখ্য
বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো সত্য পাওয়া।
সত্য হলো আল্লাহর রহস্য লোকের কিছু জানা।
সুরেশ্বরীর শান কত বড় রে, ভান্ডারীর শান
কত বড় রে, খাজা বাবার শান কত বড় রে,
শান বললেও আছে, না বললেও আছে, তুমি
কি ঘোড়ার ডিমটা পাইলা। তুমিতো বকরির
তিন নম্বর বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে পীরের
বাড়িতে গিয়ে শুধু লাফালাফিই করে গেলা।
আসো বসো মুরিদ হও, ধ্যান-সাধনা কর, যদি
আল্লাহর রহস্যলোকের কিছুই না পাও
আমাকে ফেলে চলে যাও। এখানে পীর বড়
নয় এখানে সত্য বড়। সারা জীবন বাবা
বাবা ডাকবা পাইবা না ঘোড়ার ডিমও
সেই বাবা ডাইকা কোন লাভ নাই।
--------কালান্দার ডাঃ বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল
একটা বলতে আরেকটা বুঝতে চেয়ো না। ভুল আর ভণ্ডামি এক নয়। দুঃখই পূর্ণতাকে আলিঙ্গন করতে পারে। ~দার্শনিক ফ্রেডারিক নিটশে
সত্য মিথ্যাকে দেখতেই পারে না, যেমন গ্রেহাউন্ড কুকুর চিতা বাঘ দেখতে পারে না।
~দার্শনিক ফ্রেডারিক নিটশে
কোরান-এর ষোল নম্বর সুরা আননাহাল –এর একশত দুই নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:
>কুল (বলুন) নাজজালাহু (তিনিই নাজেল করেন) রুহুলকুদুসি (রুহুল কুদ্দুস) মির (হইতে ) রাববিকা (তোমার রব) বিল হাককি (সত্যসহ) লিইউসাববিতাল (প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য) আললাজিনা (যাহারা) আমানু (ইমান আসিয়াছে) ওয়া (এবং ) হুদাও (হেদায়েত) ওয়া(এবং) বুশরা (সুসংবাদ) লিল (জন্য ) মুসলিমিনা (মুসলমান [আত্মসমর্পণকারী] দের )।
> তিনিই নাজেল করেন রুহুল কুদ্দুস তোমার রব হইতে সত্যসহ প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য যাহারা ইমান আনিয়াছে এবং হেদায়েত এবং সুসংবাদ মুসলমানদের [আত্মসমর্পণকারীদের] জন্য।
এই আয়াতে প্রথমেই বলা হয়েছে : রুহুল কুদ্দুস তিনিই নাজেল করেন তোমার রব হইতে । খেয়াল করুন, এখানে ‘মিররাববিকুম’ তথা তোমাদের রব হইতে বলা হয়নি, বরং নিছক তোমার রব হইতে রুহুর কুদ্দুস নাজেল করা হয় । তারপরেই বলা হয়েছে: সত্যসহ এবং তারপরে বলা হয়েছে: প্রতিষ্ঠা করার জন্য । ইহা কাদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য নাজেল করা হয়? উত্তরটি হলো, যারা ইমান এনেছে এবং হেদায়েত পেয়েছে এবং যারা মুসলমান (আত্মসমর্পণকারী) তাদের জন্য এই বিষয়টি একটি বিরাট সুসংবাদ। এই রুহুল কুদ্দুস যারা মুসলমান এবং ইমান ও হেদায়েত লাভ করেছেন তাদের জন্য বিরাট একটি সুসংবাদ। তা হলে রুহুল কুদ্দুস নাজেল করাটি অতীতকালের মধ্যে ধরে রাখা যায় না, বরং সর্বকালে সর্বযুগে যারা বিশ্বাসী এবং সঠিক পথপ্রাপ্ত আত্মসমর্পণকারী, তাদের জন্য রুহুল কুদ্দুস পরিপূ্র্ণরূপ ধারণ করে পরিচালিত করেন। আফসোস! এই রুহুল কুদ্দুস তথা পবিত্র রুহ অথবা শক্তিশালী রুহ বলতে নফস ও রুহবিহীন জিবরাইল নামক ফেরেশতাকে দাঁড় করিয়ে সার্বজনীনতার এবং সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য বিষয়টিকে একটি নিদিষ্ট কালের গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারি না যে রুহুল কুদ্দুস বলতে কেমন করে জিবরাইল ফেরেশতা অনুবাদ করে বিভ্রান্ত করে। মহানবি হেরা গুহায় ধ্যানসাধনার মাধ্যমে যে নিজের নফসের উপর রুহটি পরিপূর্ণরূপে বিকশিত হয় উহাই বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু যারা হেরা গুহার ধ্যানসাধনার বিষয়টি সযত্নে এড়িয়ে যায় তাদের পক্ষে রুহুল কুদ্দুসের পরিচয় জানাটি অসম্ভব এবং বিষয়টি নিছক শাব্দিক ও মৌখিক বিষয়ে পরিণত হয়। সাধারণত আমরা দেখতে পাই যে, তৌহিদের মূল বিষয়টি শিক্ষা দিতে হলে নিজে আগে কেমন করে লাভ করা যায় সেই প্রয়োগ-পদ্ধতিটি দেখিয়ে দিয়ে যান । হেরাগুহার নির্জনে একাকী সময়-অসময়ে পনেরটি বছর ধ্যানসাধনার মাধ্যমে নিজের জীবনের উপর দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মহানবি দেখিয়ে গেলেন যে, এই হেরা গুহায় নির্জন সাধনার মতো ধ্যানসাধনা ছাড়া রুহুল কুদ্দুসের পরিচয়টি পাওয়া অসম্ভব। কারণ মহানবি তখনও নবি যখন প্রথম মহামানব হজরত আদম (আ.) মাটি ও পানিতে ভাসমান। সুতরাং, এই হেরা গুহার ধ্যানসাধনাটি নিছক মহানবির অনুসারীদের জন্য একটি জ্বলন্ত শিক্ষনীয় বিষয় এবং দেদীপ্যমান সার্বজনীনতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর। সে জন্যই পরিশেষে বিরাট একটি দুঃখ নিয়ে এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমাকে বলতে হচ্ছে যে, কোথায় রুহুল কুদ্দুস আর কোথায় যার নফসও নাই রুহও নাই এমন একজন ফেরেশতা যার নাম জিবরাইল। মিথ্যার চাদরে ঢাকতে–ঢাকতে সত্য সম্পূর্ণরূপে ঢেকে যায়। তেমনি আজ মানব-সমাজের বুকে সত্য উদ্ধারের প্রচেষ্টায় পদে-পদে হোঁচট খেতে হয় যখন দেখতে পাই উলঙ্গ একটি সত্যকে তথা রুহুল কুদ্দুসকে কেমন করে মিথ্যার কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়। পরিশেষে বলতে চাই যে, রুহ-এর পরিপূর্ণরূপটি যখন সাধক তথা মোমিন-এর (আমানু নহে) আপন নফসের উপর আলোকিত হয় উহাকেই নুরে মুহাম্মদি বলা হয় এবং এই নুরে মুহাম্মদি-কে আপন নফসের উপর উদ্ভাসিত করবার সাধনাটি ইসলামের মূল কথা। এ-জন্য ইসলামকে আলো তথা নুর বলা হয়। যেমন ‘আল ইসলামুন নুরুন’– অর্থাৎ , ইসলামই একমাত্র নুর তথা আলো । এই নুর সার্বজনীন। যে-কোনো সাধক ধ্যানসাধনার একাগ্রতায় এবং আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করার পরেই তা অর্জন করতে পারবে। আবার ইসলামকে শান্তিও বলা হয়, বলা হয় ইসলাম আত্মসমর্পণ করার ধর্ম, কিন্তু ইসলাম যে একমাত্র নুর ইহা মৌখিকভাবে জানা থাকলেও সাধকেরাই বুঝতে পারেন। কোরান-এর বিয়াল্লিশ নম্বর সুরা আশ শুরা-র বায়ান্ন নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে : ওয়া (এবং) কাজালিকা (ওইভাবে) আওহাইনা (ওহি পাঠাইয়াছি আমরা ইলাইকা (আপনার দিকে ) রুহাম (রুহ) মিন (হইতে) আমরিনা (আমাদের হুকুমে /আদেশে/ আজ্ঞায়/অনুমতিতে/নির্দেশে)। >এবং ওইভাবে আমরা ওহি পাঠাইয়াছি আপনার দিকে রুহ আমাদের হুকুম হইতে। এই আয়াতেরর রুহ শব্দটি ব্যবহার করতে গিয়ে প্রায় তফসিরকারকেরাই ইহার একান্ত গোপন রহস্য বুঝতে না পেরে একেক জনে একেক রকম রুহ-এর প্রতিশব্দটি ব্যবহার করেছেন। অনেকে তো বিশেষ করে এই আয়াতে 'রুহাম'-কে 'ওহি' অনুবাদ করে ফেলেছেন। অথচ অনুবাদক একবার ভুলেও চিন্তা করে দেখলেন না যে ‘আওহাইনা’ তথা ‘আমরা ওহি পাঠিয়েছি' আগেই বলে দেওয়া হয়েছে এবং এই বলে দেবার পরেও রুহাম তথা রুহ-এর গোপন রহস্য বুঝতে না পেরে ‘ওহি’ অনুবাদ করেছেন। প্রথমেই তো ‘আমরা ওহি পাঠাইয়াছি’ বলা হলো তারপরে আবার ‘রুহাম’ শব্দটিকেও কেমন করে এবং কীভাবে ‘ওহি’ অনুবাদ করেন ইহা ভাবতে গেলেও অবাক হই। অনুবাদের চেহারাই যদি এত গোঁজামিল আর মনগড়া কথা দিয়ে ভরে রাখা হয় তাহলে সহজ–সরল পাঠকেরা কেমন করে সত্যের পরিচয়টি জানতে পারবে? আবার অনেক অনুবাদক ‘রুহাম'-কে ‘ওহি’ লিখতে খুবই শরম পেয়ে 'রুহাম' –এর অনুবাদ করেছেন ‘কোরআন’। মাশাল্লাহ! ইনাদের কোরান-এর এহেন অনুবাদের চেহারাটি যদি এমন হয় তা হলে পাঠক কোনটা গ্রহণ করবে ইহাতেও যে একটি বিরাট প্রশ্ন থেকে যায়।মনে শান্তি পাওয়া এক জিনিস আর সত্য উদ্ধারের গবেষনাটি অন্য জিনিস। এক ইসলামের তিন কুড়ি তেরটি সাইনবোর্ড কাঁধের উপর ঝুলছে। প্রশ্ন আসতে পারে, এই তিন কুড়ি তেরটি সাইনবোর্ডের মধ্যে কোন সাইনবোর্ডটি সাচ্চা ? সাচ্চা সাইনবোর্ডটি উদ্ধার করতে গিয়ে সরল-সহজ পাঠকদের অবস্থাটি কি লেজে-গোবরে পরিণত হচ্ছে না? বীজরূপে রুহ প্রতিটি মানুষের সঙ্গে অবস্থান করছে বলেই আল্লাহ বলেছেন যে, আমরা [আল্লাহ-বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে] জীবন-রগের নিকটেই অবস্থান করছি।’ এখানে ‘ইলা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তথা ‘দিকে’ বলা হয়েছে, ইনদা’ তথা 'ভেতরে’ শব্দটি ব্যাবহার করা হয় নি। শয়তান খান্নাসরূপে নফসের সঙ্গে মিশে থাকে। কিন্তু রুহ জীবন-রগের নিকটে বীজরূপে অবস্থান করে । লক্ষ করুন, এই আয়াতেও ‘ইলাইকা’ তথা আপনার দিকে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। অতীব দুঃখ নিয়ে বলতে হচ্ছে যে দশচক্রে ভগবানকেও যে ভূতরূপে আমজনতা গ্রহণ করে ফেলে তারই জ্বলন্ত নমুনাগুলো একটি একটি করে পেশ করছি। অনেকের আঁতে ঘা লাগতে পারে , আবার অনেকের হুঁশ আসতে পারে । আঁতে ঘা লাগাটাও তকদির এবং হুঁশ আসাটাও তকদির।
সগীরে আজম, জামালে কিবরিয়া, গোলামে হারিমেনাজ,ফজলে রাব্বানি , আমবারে ওয়ারসী, হেরমায়ে আবদাল, জানজিরে বেখুদি, লাসানিয়ে সিনানাথ, নূরে তাবাসসুম, মেহেতাব বিন্দাবাসি, দিলবারি পায়েন্দবাসি, আশেকা শারমিন্দাবাসি, গোলামে রিন্দী, পীরে এলমে লাহুতি,আম্বারে যিকরে মিম, জজবায়ে আশেকানা, ফিকরে জামালাস, ফিকরে উইসালাস, ফায়েজ মাহাবুবে এলাহী, খায়ের মাকদম,শারমি ফারোশাম, আমাদ তামামি, গোলামে ফা-কুম-কুম ইয়া হাবিবী, বাহুসনে এহে্তেমামত, তোফায়েলে দিগারা ইয়াবাত, মুফ্তা খারাজুয়ে, বেমেছালে লাজশরম, বারকাতকা এজাহার, জামালে এলাহিয়া, হালে মোরাকাবা, চেরাগে রওশন,জালুয়ায়ে নুরে এলাহী, বেনিয়াজ, গুলে বে নাজির, গোলামে বাশানে বাশিরুন, হুব্বেতো মাস্তাম,গোলামে মাকসুদে হাকিকত, পারাস্তারে মহাব্বত, উলুলে মহাব্বত, মোহনী মুরাত, সোহনী সুরাত, বান্দা নেওয়াজ, জালুয়ায়ে দিল, আশিকে জামালে ইয়ার, গোলামে হাসান হোসাইন, ফসলে গুল, গাওহারে মানি, হাকিকাতে মুনতাজার , ছানাম আশেকা, হুব্বে মাকামে কিবরিয়া, মেরা ইমান আলি হ্যাঁয়, ফায়েজে মাহাবুবে জালাল নূরি আল সুরেশ্বরী, হুসনে সানাম, নুরকা পূতলা, সুরাতে বালিহারি, বান্দায়ে তাজদারে হারাম, চেরাগে মহাব্বত, জুলমাতমে নূর, পারাস্তারে সামাদ, গোলামে জুলজালাল,বান্দায়ে ইকরাম, বেখুদি এ সেতারা ও হেলাল, চেরাগে জান শরীফ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল ইবনে হেলাল গোলামে শাহ জালাল নূরী আল সুরেশ্বরী।
(উনার রচিত ২৫ টি বই এবং ৬৩ ঘন্টার মেমোরিকার্ড টি শুনলেই আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন)।
পাগল হয়ে যাব, এত উচ্চমানের লিখা মাথায় আঁটে না। নফস ও রূহের পার্থক্য বিষয়ের উপর লিখতে গিয়ে বাবা জাহাঙ্গীর তাঁর কোরানুল মাজিদের ৬৩ নং পৃষ্ঠায় নিম্নোক্ত লিখাটির অবতারণা করেছেন। "Religious view of World Theology" ক্লাসে আমার ম্যাডামকে ( কোন এক কারণে তাঁর নামটি উল্লেখ করা হল না) এ লেখাটা দেখিয়েছিলাম আর বলেছিলাম আমাকে বুঝিয়ে দিন, প্রত্যুত্তরে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল
করে চেয়ে থেকে বললেন, "সারাজীবন ভাত খাওয়ার জন্য বিদ্যার্জন করে গেছি, কিন্তু, এ লেখাটা সক্রেটিস শ্রেণির লোকের লেখা যিনি নিজেকে চিনেছেন, এটা রেনে দেকার্তের মতো দার্শনিকদের দর্শন থেকে আরো উচ্চতম দর্শনের লেখা, এটা ডেভিড হিউম আর কান্টদের থেকে অারো অনেক উপরের লেখা, এখানে সমস্ত সন্দেহের অবসান ঘটেছে, এখানে মিলনের প্রশ্নে পুরোটাই Eternal Entity, এখানে দেহধারী মানুষটা নি:সন্দেহে পরমসত্ত্বার প্রতিমূর্তি, যদি তোমার সাথে তাঁর সাক্ষাত হয় তো আমার সালাম পৌঁছে দিও।
আসলে উলঙ্গ সত্য কথাটি বলতে গেলে বলতে হয় যে, রুহুল অামিন হলেন মহানবির অাপন অাধ্যাত্মিক প্রতিচ্ছবি। ইহা জগৎময় ব্যক্তও হতে পারে, আবার যেকোন মূর্তি ধারণও করতে পারে। ইহা স্থান-কালের (টাইম এন্ড স্পেস) সব রকম মানুষের আদি ও আসল রূপ। এইরূপের মাঝে প্রত্যাবর্তন করাই মানবজীবনের পরম এবং চরম স্বার্থকতা। অাল্লাহর নিকট মানুষের প্রত্যাবর্তন করার তথা ফিরে আসার অর্থটিও ইহাই।
ভক্ত Aaga Bagalane (আগা বাগালেন) র কমেন্টটি তুলে ধরলাম,
সারাটি জীবন আপন পীরকে বাবা বাবা বলে ডাকলেন অথচ পেলেন না কিছুই। এই বাবা বলে ডেকে কোনো লাভ নেই। এখানে পীর বড় নয়, সত্য পাওয়াটাই বড়। তাই একটি পর একটি পীর বদলিয়ে ফেলুন।
------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
নকশেবন্দি- মুজাদ্দেদি তরিকা, চিশতিয়া-কাদেরিয়া তরিকা, আবু - উলাই তরিকা, কালান্দারিয়া তরিকার শান গেয়েই গেলেন , শান না গাইলেও কিছু আসে যায় না। প্রশ্ন হলো? আপনি তো তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে শুধু লাফালাফিই করেই গেলেন।
------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।
আমার পীর বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অন্য পীরের তুলনা করাই যায় না। কারণ, কোরানে ২১ বার রুহ বিষয়ে বলা হয়েছে, এবং এই ২১ বারই একবচনে বলা হয়েছে রুহের বহুবচন নাই । রুহ ফুৎকার করা হয়– নফস নয় । এই বিষয়ে অবাক করা ব্যাখ্যাটি সমগ্র পৃথিবীতে আমার বাবাই দিয়ে গেছেন। কথাটি শুনতে ভাল লাগবে না, কিন্তু আসলে ইহা একটি তিক্ত সত্য কথা। আমার পীর বাবার পঁচিশটি বই কোরানের পনের পারার অনুবাদ কিছুটা ব্যাখ্যা এবং আট জি.বি তেষট্টি ঘন্টার মেমোরিকার্ডটি শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন আমার কথার সত্যতাটি।
-------শাহ সূফি ময়েজউদ্দিন আল সুরেশ্বরী।
যারা অজানা কিছু জানতে আগ্রহী
তাদেরকে বলছি, সবাইকে নয়।
তোমার পীর যত বড় পীরই হোক না কেন
যদি তুমি তার থেকে সত্য না পাও তবে
ফেলে দাও তাকে। কারণ পীর এখানে মুখ্য
বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো সত্য পাওয়া।
সত্য হলো আল্লাহর রহস্য লোকের কিছু জানা।
সুরেশ্বরীর শান কত বড় রে, ভান্ডারীর শান
কত বড় রে, খাজা বাবার শান কত বড় রে,
শান বললেও আছে, না বললেও আছে, তুমি
কি ঘোড়ার ডিমটা পাইলা। তুমিতো বকরির
তিন নম্বর বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে পীরের
বাড়িতে গিয়ে শুধু লাফালাফিই করে গেলা।
আসো বসো মুরিদ হও, ধ্যান-সাধনা কর, যদি
আল্লাহর রহস্যলোকের কিছুই না পাও
আমাকে ফেলে চলে যাও। এখানে পীর বড়
নয় এখানে সত্য বড়। সারা জীবন বাবা
বাবা ডাকবা পাইবা না ঘোড়ার ডিমও
সেই বাবা ডাইকা কোন লাভ নাই।
--------কালান্দার ডাঃ বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল
একটা বলতে আরেকটা বুঝতে চেয়ো না। ভুল আর ভণ্ডামি এক নয়। দুঃখই পূর্ণতাকে আলিঙ্গন করতে পারে। ~দার্শনিক ফ্রেডারিক নিটশে
সত্য মিথ্যাকে দেখতেই পারে না, যেমন গ্রেহাউন্ড কুকুর চিতা বাঘ দেখতে পারে না।
~দার্শনিক ফ্রেডারিক নিটশে
কোরান-এর ষোল নম্বর সুরা আননাহাল –এর একশত দুই নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:
>কুল (বলুন) নাজজালাহু (তিনিই নাজেল করেন) রুহুলকুদুসি (রুহুল কুদ্দুস) মির (হইতে ) রাববিকা (তোমার রব) বিল হাককি (সত্যসহ) লিইউসাববিতাল (প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য) আললাজিনা (যাহারা) আমানু (ইমান আসিয়াছে) ওয়া (এবং ) হুদাও (হেদায়েত) ওয়া(এবং) বুশরা (সুসংবাদ) লিল (জন্য ) মুসলিমিনা (মুসলমান [আত্মসমর্পণকারী] দের )।
> তিনিই নাজেল করেন রুহুল কুদ্দুস তোমার রব হইতে সত্যসহ প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য যাহারা ইমান আনিয়াছে এবং হেদায়েত এবং সুসংবাদ মুসলমানদের [আত্মসমর্পণকারীদের] জন্য।
এই আয়াতে প্রথমেই বলা হয়েছে : রুহুল কুদ্দুস তিনিই নাজেল করেন তোমার রব হইতে । খেয়াল করুন, এখানে ‘মিররাববিকুম’ তথা তোমাদের রব হইতে বলা হয়নি, বরং নিছক তোমার রব হইতে রুহুর কুদ্দুস নাজেল করা হয় । তারপরেই বলা হয়েছে: সত্যসহ এবং তারপরে বলা হয়েছে: প্রতিষ্ঠা করার জন্য । ইহা কাদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য নাজেল করা হয়? উত্তরটি হলো, যারা ইমান এনেছে এবং হেদায়েত পেয়েছে এবং যারা মুসলমান (আত্মসমর্পণকারী) তাদের জন্য এই বিষয়টি একটি বিরাট সুসংবাদ। এই রুহুল কুদ্দুস যারা মুসলমান এবং ইমান ও হেদায়েত লাভ করেছেন তাদের জন্য বিরাট একটি সুসংবাদ। তা হলে রুহুল কুদ্দুস নাজেল করাটি অতীতকালের মধ্যে ধরে রাখা যায় না, বরং সর্বকালে সর্বযুগে যারা বিশ্বাসী এবং সঠিক পথপ্রাপ্ত আত্মসমর্পণকারী, তাদের জন্য রুহুল কুদ্দুস পরিপূ্র্ণরূপ ধারণ করে পরিচালিত করেন। আফসোস! এই রুহুল কুদ্দুস তথা পবিত্র রুহ অথবা শক্তিশালী রুহ বলতে নফস ও রুহবিহীন জিবরাইল নামক ফেরেশতাকে দাঁড় করিয়ে সার্বজনীনতার এবং সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য বিষয়টিকে একটি নিদিষ্ট কালের গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারি না যে রুহুল কুদ্দুস বলতে কেমন করে জিবরাইল ফেরেশতা অনুবাদ করে বিভ্রান্ত করে। মহানবি হেরা গুহায় ধ্যানসাধনার মাধ্যমে যে নিজের নফসের উপর রুহটি পরিপূর্ণরূপে বিকশিত হয় উহাই বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু যারা হেরা গুহার ধ্যানসাধনার বিষয়টি সযত্নে এড়িয়ে যায় তাদের পক্ষে রুহুল কুদ্দুসের পরিচয় জানাটি অসম্ভব এবং বিষয়টি নিছক শাব্দিক ও মৌখিক বিষয়ে পরিণত হয়। সাধারণত আমরা দেখতে পাই যে, তৌহিদের মূল বিষয়টি শিক্ষা দিতে হলে নিজে আগে কেমন করে লাভ করা যায় সেই প্রয়োগ-পদ্ধতিটি দেখিয়ে দিয়ে যান । হেরাগুহার নির্জনে একাকী সময়-অসময়ে পনেরটি বছর ধ্যানসাধনার মাধ্যমে নিজের জীবনের উপর দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মহানবি দেখিয়ে গেলেন যে, এই হেরা গুহায় নির্জন সাধনার মতো ধ্যানসাধনা ছাড়া রুহুল কুদ্দুসের পরিচয়টি পাওয়া অসম্ভব। কারণ মহানবি তখনও নবি যখন প্রথম মহামানব হজরত আদম (আ.) মাটি ও পানিতে ভাসমান। সুতরাং, এই হেরা গুহার ধ্যানসাধনাটি নিছক মহানবির অনুসারীদের জন্য একটি জ্বলন্ত শিক্ষনীয় বিষয় এবং দেদীপ্যমান সার্বজনীনতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর। সে জন্যই পরিশেষে বিরাট একটি দুঃখ নিয়ে এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমাকে বলতে হচ্ছে যে, কোথায় রুহুল কুদ্দুস আর কোথায় যার নফসও নাই রুহও নাই এমন একজন ফেরেশতা যার নাম জিবরাইল। মিথ্যার চাদরে ঢাকতে–ঢাকতে সত্য সম্পূর্ণরূপে ঢেকে যায়। তেমনি আজ মানব-সমাজের বুকে সত্য উদ্ধারের প্রচেষ্টায় পদে-পদে হোঁচট খেতে হয় যখন দেখতে পাই উলঙ্গ একটি সত্যকে তথা রুহুল কুদ্দুসকে কেমন করে মিথ্যার কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়। পরিশেষে বলতে চাই যে, রুহ-এর পরিপূর্ণরূপটি যখন সাধক তথা মোমিন-এর (আমানু নহে) আপন নফসের উপর আলোকিত হয় উহাকেই নুরে মুহাম্মদি বলা হয় এবং এই নুরে মুহাম্মদি-কে আপন নফসের উপর উদ্ভাসিত করবার সাধনাটি ইসলামের মূল কথা। এ-জন্য ইসলামকে আলো তথা নুর বলা হয়। যেমন ‘আল ইসলামুন নুরুন’– অর্থাৎ , ইসলামই একমাত্র নুর তথা আলো । এই নুর সার্বজনীন। যে-কোনো সাধক ধ্যানসাধনার একাগ্রতায় এবং আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করার পরেই তা অর্জন করতে পারবে। আবার ইসলামকে শান্তিও বলা হয়, বলা হয় ইসলাম আত্মসমর্পণ করার ধর্ম, কিন্তু ইসলাম যে একমাত্র নুর ইহা মৌখিকভাবে জানা থাকলেও সাধকেরাই বুঝতে পারেন। কোরান-এর বিয়াল্লিশ নম্বর সুরা আশ শুরা-র বায়ান্ন নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে : ওয়া (এবং) কাজালিকা (ওইভাবে) আওহাইনা (ওহি পাঠাইয়াছি আমরা ইলাইকা (আপনার দিকে ) রুহাম (রুহ) মিন (হইতে) আমরিনা (আমাদের হুকুমে /আদেশে/ আজ্ঞায়/অনুমতিতে/নির্দেশে)। >এবং ওইভাবে আমরা ওহি পাঠাইয়াছি আপনার দিকে রুহ আমাদের হুকুম হইতে। এই আয়াতেরর রুহ শব্দটি ব্যবহার করতে গিয়ে প্রায় তফসিরকারকেরাই ইহার একান্ত গোপন রহস্য বুঝতে না পেরে একেক জনে একেক রকম রুহ-এর প্রতিশব্দটি ব্যবহার করেছেন। অনেকে তো বিশেষ করে এই আয়াতে 'রুহাম'-কে 'ওহি' অনুবাদ করে ফেলেছেন। অথচ অনুবাদক একবার ভুলেও চিন্তা করে দেখলেন না যে ‘আওহাইনা’ তথা ‘আমরা ওহি পাঠিয়েছি' আগেই বলে দেওয়া হয়েছে এবং এই বলে দেবার পরেও রুহাম তথা রুহ-এর গোপন রহস্য বুঝতে না পেরে ‘ওহি’ অনুবাদ করেছেন। প্রথমেই তো ‘আমরা ওহি পাঠাইয়াছি’ বলা হলো তারপরে আবার ‘রুহাম’ শব্দটিকেও কেমন করে এবং কীভাবে ‘ওহি’ অনুবাদ করেন ইহা ভাবতে গেলেও অবাক হই। অনুবাদের চেহারাই যদি এত গোঁজামিল আর মনগড়া কথা দিয়ে ভরে রাখা হয় তাহলে সহজ–সরল পাঠকেরা কেমন করে সত্যের পরিচয়টি জানতে পারবে? আবার অনেক অনুবাদক ‘রুহাম'-কে ‘ওহি’ লিখতে খুবই শরম পেয়ে 'রুহাম' –এর অনুবাদ করেছেন ‘কোরআন’। মাশাল্লাহ! ইনাদের কোরান-এর এহেন অনুবাদের চেহারাটি যদি এমন হয় তা হলে পাঠক কোনটা গ্রহণ করবে ইহাতেও যে একটি বিরাট প্রশ্ন থেকে যায়।মনে শান্তি পাওয়া এক জিনিস আর সত্য উদ্ধারের গবেষনাটি অন্য জিনিস। এক ইসলামের তিন কুড়ি তেরটি সাইনবোর্ড কাঁধের উপর ঝুলছে। প্রশ্ন আসতে পারে, এই তিন কুড়ি তেরটি সাইনবোর্ডের মধ্যে কোন সাইনবোর্ডটি সাচ্চা ? সাচ্চা সাইনবোর্ডটি উদ্ধার করতে গিয়ে সরল-সহজ পাঠকদের অবস্থাটি কি লেজে-গোবরে পরিণত হচ্ছে না? বীজরূপে রুহ প্রতিটি মানুষের সঙ্গে অবস্থান করছে বলেই আল্লাহ বলেছেন যে, আমরা [আল্লাহ-বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে] জীবন-রগের নিকটেই অবস্থান করছি।’ এখানে ‘ইলা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তথা ‘দিকে’ বলা হয়েছে, ইনদা’ তথা 'ভেতরে’ শব্দটি ব্যাবহার করা হয় নি। শয়তান খান্নাসরূপে নফসের সঙ্গে মিশে থাকে। কিন্তু রুহ জীবন-রগের নিকটে বীজরূপে অবস্থান করে । লক্ষ করুন, এই আয়াতেও ‘ইলাইকা’ তথা আপনার দিকে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। অতীব দুঃখ নিয়ে বলতে হচ্ছে যে দশচক্রে ভগবানকেও যে ভূতরূপে আমজনতা গ্রহণ করে ফেলে তারই জ্বলন্ত নমুনাগুলো একটি একটি করে পেশ করছি। অনেকের আঁতে ঘা লাগতে পারে , আবার অনেকের হুঁশ আসতে পারে । আঁতে ঘা লাগাটাও তকদির এবং হুঁশ আসাটাও তকদির।
সগীরে আজম, জামালে কিবরিয়া, গোলামে হারিমেনাজ,ফজলে রাব্বানি , আমবারে ওয়ারসী, হেরমায়ে আবদাল, জানজিরে বেখুদি, লাসানিয়ে সিনানাথ, নূরে তাবাসসুম, মেহেতাব বিন্দাবাসি, দিলবারি পায়েন্দবাসি, আশেকা শারমিন্দাবাসি, গোলামে রিন্দী, পীরে এলমে লাহুতি,আম্বারে যিকরে মিম, জজবায়ে আশেকানা, ফিকরে জামালাস, ফিকরে উইসালাস, ফায়েজ মাহাবুবে এলাহী, খায়ের মাকদম,শারমি ফারোশাম, আমাদ তামামি, গোলামে ফা-কুম-কুম ইয়া হাবিবী, বাহুসনে এহে্তেমামত, তোফায়েলে দিগারা ইয়াবাত, মুফ্তা খারাজুয়ে, বেমেছালে লাজশরম, বারকাতকা এজাহার, জামালে এলাহিয়া, হালে মোরাকাবা, চেরাগে রওশন,জালুয়ায়ে নুরে এলাহী, বেনিয়াজ, গুলে বে নাজির, গোলামে বাশানে বাশিরুন, হুব্বেতো মাস্তাম,গোলামে মাকসুদে হাকিকত, পারাস্তারে মহাব্বত, উলুলে মহাব্বত, মোহনী মুরাত, সোহনী সুরাত, বান্দা নেওয়াজ, জালুয়ায়ে দিল, আশিকে জামালে ইয়ার, গোলামে হাসান হোসাইন, ফসলে গুল, গাওহারে মানি, হাকিকাতে মুনতাজার , ছানাম আশেকা, হুব্বে মাকামে কিবরিয়া, মেরা ইমান আলি হ্যাঁয়, ফায়েজে মাহাবুবে জালাল নূরি আল সুরেশ্বরী, হুসনে সানাম, নুরকা পূতলা, সুরাতে বালিহারি, বান্দায়ে তাজদারে হারাম, চেরাগে মহাব্বত, জুলমাতমে নূর, পারাস্তারে সামাদ, গোলামে জুলজালাল,বান্দায়ে ইকরাম, বেখুদি এ সেতারা ও হেলাল, চেরাগে জান শরীফ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল ইবনে হেলাল গোলামে শাহ জালাল নূরী আল সুরেশ্বরী।
(উনার রচিত ২৫ টি বই এবং ৬৩ ঘন্টার মেমোরিকার্ড টি শুনলেই আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন)।
পাগল হয়ে যাব, এত উচ্চমানের লিখা মাথায় আঁটে না। নফস ও রূহের পার্থক্য বিষয়ের উপর লিখতে গিয়ে বাবা জাহাঙ্গীর তাঁর কোরানুল মাজিদের ৬৩ নং পৃষ্ঠায় নিম্নোক্ত লিখাটির অবতারণা করেছেন। "Religious view of World Theology" ক্লাসে আমার ম্যাডামকে ( কোন এক কারণে তাঁর নামটি উল্লেখ করা হল না) এ লেখাটা দেখিয়েছিলাম আর বলেছিলাম আমাকে বুঝিয়ে দিন, প্রত্যুত্তরে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল
করে চেয়ে থেকে বললেন, "সারাজীবন ভাত খাওয়ার জন্য বিদ্যার্জন করে গেছি, কিন্তু, এ লেখাটা সক্রেটিস শ্রেণির লোকের লেখা যিনি নিজেকে চিনেছেন, এটা রেনে দেকার্তের মতো দার্শনিকদের দর্শন থেকে আরো উচ্চতম দর্শনের লেখা, এটা ডেভিড হিউম আর কান্টদের থেকে অারো অনেক উপরের লেখা, এখানে সমস্ত সন্দেহের অবসান ঘটেছে, এখানে মিলনের প্রশ্নে পুরোটাই Eternal Entity, এখানে দেহধারী মানুষটা নি:সন্দেহে পরমসত্ত্বার প্রতিমূর্তি, যদি তোমার সাথে তাঁর সাক্ষাত হয় তো আমার সালাম পৌঁছে দিও।
আসলে উলঙ্গ সত্য কথাটি বলতে গেলে বলতে হয় যে, রুহুল অামিন হলেন মহানবির অাপন অাধ্যাত্মিক প্রতিচ্ছবি। ইহা জগৎময় ব্যক্তও হতে পারে, আবার যেকোন মূর্তি ধারণও করতে পারে। ইহা স্থান-কালের (টাইম এন্ড স্পেস) সব রকম মানুষের আদি ও আসল রূপ। এইরূপের মাঝে প্রত্যাবর্তন করাই মানবজীবনের পরম এবং চরম স্বার্থকতা। অাল্লাহর নিকট মানুষের প্রত্যাবর্তন করার তথা ফিরে আসার অর্থটিও ইহাই।
ভক্ত Aaga Bagalane (আগা বাগালেন) র কমেন্টটি তুলে ধরলাম,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন