রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭

নফ্স ও রুহের পার্থক্য - ৩

সারাটি  জীবন আপন পীরকে বাবা বাবা বলে ডাকলেন অথচ পেলেন না কিছুই।  এই বাবা বলে ডেকে কোনো লাভ নেই। এখানে পীর বড় নয়, সত্য পাওয়াটাই বড়। তাই একটি পর একটি পীর বদলিয়ে ফেলুন।

               ------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।

নকশেবন্দি- মুজাদ্দেদি তরিকা, চিশতিয়া-কাদেরিয়া তরিকা, আবু - উলাই তরিকা, কালান্দারিয়া তরিকার শান গেয়েই গেলেন , শান না গাইলেও কিছু আসে যায় না। প্রশ্ন হলো? আপনি তো তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে শুধু লাফালাফিই করেই গেলেন।
                ------কালান্দার ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল।

 আমার পীর বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অন্য পীরের তুলনা করাই যায় না। কারণ, কোরানে ২১ বার রুহ বিষয়ে বলা হয়েছে, এবং এই ২১ বারই একবচনে বলা হয়েছে রুহের বহুবচন নাই । রুহ ফুৎকার করা হয়– নফস নয় । এই বিষয়ে অবাক করা ব্যাখ্যাটি সমগ্র পৃথিবীতে আমার বাবাই দিয়ে গেছেন। কথাটি শুনতে ভাল লাগবে না, কিন্তু আসলে ইহা একটি তিক্ত সত্য কথা।  আমার পীর বাবার পঁচিশটি বই কোরানের পনের পারার অনুবাদ কিছুটা ব্যাখ্যা এবং আট জি.বি তেষট্টি ঘন্টার মেমোরিকার্ডটি শুনলে আপনি বুঝতে পারবেন আমার কথার সত্যতাটি।
                -------শাহ সূফি ময়েজউদ্দিন আল সুরেশ্বরী।

যারা অজানা কিছু জানতে আগ্রহী
তাদেরকে বলছি, সবাইকে নয়।

তোমার পীর যত বড় পীরই হোক না কেন
যদি তুমি তার থেকে সত্য না পাও তবে
ফেলে দাও তাকে। কারণ পীর এখানে মুখ্য
বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো সত্য পাওয়া।
সত্য হলো আল্লাহর রহস্য লোকের কিছু জানা।
সুরেশ্বরীর শান কত বড় রে, ভান্ডারীর শান
কত বড় রে, খাজা বাবার শান কত বড় রে,
শান বললেও আছে, না বললেও আছে, তুমি
কি ঘোড়ার ডিমটা পাইলা। তুমিতো বকরির
তিন নম্বর বাচ্চার মতো দুধ না পেয়ে পীরের
বাড়িতে গিয়ে শুধু লাফালাফিই করে গেলা।

আসো বসো মুরিদ হও, ধ্যান-সাধনা কর, যদি
আল্লাহর রহস্যলোকের কিছুই না পাও
আমাকে ফেলে চলে যাও। এখানে পীর বড়
নয় এখানে সত্য বড়। সারা জীবন বাবা
বাবা ডাকবা পাইবা না ঘোড়ার ডিমও
সেই বাবা ডাইকা কোন লাভ নাই।
              --------কালান্দার ডাঃ বাবা  জাহাঙ্গীর ইকবাল

আমার চাওয়া-পাওয়াটি কী ছিল? আমি তা নিজেই জানতে পারলাম না। এমনকি মরনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত।
~হযরত সাকীব

যে পীর মুরিদের ধন-সম্পদের দিকে তাকায় বলে দাও সে দুনিয়াদার মরদুদ (মরদুদ শয়তান)
    --------কালান্দার ডাঃ বাবা  জাহাঙ্গীর ইকবাল

আমাদের জানা মতে আর কোন জীবকেই এই রকম সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিটি দেওয়া হয় নাই। স্থলচর এবং জলচর যত প্রকার অসংখ্য ছোট এবং বড় প্রাণী আছে তাদের কারও শাহারগের তথা জীবন-রগের নিকটে আল্লাহর অবস্থান করার কথাটি কোরান-এ পাওয়া যায় না, এমনকি আল্লাহর তাঁর সমগ্র সৃষ্টিজগতের জড় পদার্থের সঙ্গে অবস্থান করার কথাটিও পাওয়া যায় না। অঙ্কের হিসাবের চেয়েও অনেক বেশি হিসাব করে আল্লাহ্ কোরান-এর প্রতিটি শব্দ চয়ন করেছেন। কিন্তু আমাদের বুঝবার সূক্ষ্ম দুর্বলতাটিকে প্রকাশ না করে গোঁজামিলের আশ্রয় নেই এবং নিতে হয়। যেমন রুহ শব্দটির পরিভাষা ইংরেজিতে পাওয়া যায় না। তাই না বুঝে ‘স্পিরিট’ শব্দটি ব্যবহার করি। রুহের প্রতিশব্দ যদিও আমরা পাই না তবে হিন্দুশাস্ত্রে এই রুহ শব্দটিকে পরমাত্মা বলে অভিহিত করা হয়েছে। এখানে পরম অর্থটি হলো আল্লাহ এবং আল্লাহর আত্মা বলে বোঝানো হয়েছে । অবশ্য কোরান–এ রুহ বলা হয়েছে “কুলুর রুহ মিন্ আমরি রাব্বি”– অর্থাৎ," রুহ আমার রবেরই আদেশ হইতে আগত।"

জীবের জীবন আছে তথা প্রাণ আছে তথা নফ্স আছে – তাহলে এই জীবন, এই প্রাণ এবং এই নফ্সকে কেমন করে আত্মা বলে ঘোষণা করি? সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে ইহাও একটি সাংঘর্ষিক বিষয় হয়ে দাঁড়ায় , তবে বুঝতে এবং বোঝাতে কোনো উপায় থাকে না বলেই এই সাংঘর্ষিক বিষয়টি তুলে ধরতে হয়। কেউ জেনে-শুনে তুলে ধরেন, আবার কেউ না–জেনে তুলে ধরেন। বিষয়টি ভুল হলেও দোষ দেওয়া যায় না। কারণ জ্ঞানের অভাবেই এ–রকমটি হয় বলে মনে করি। জীবের প্রাণ আছে, কিন্তু কোনো আত্মা নাই- এই কথাটি কেমন করে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরব? আসলে হাকিকতে কোনো জীবেরই আত্মা নাই-একমাত্র জিন এবং মানুষের শাহারগের তথা জীবন-রগের নিকটে অতীব সূক্ষ্মরূপে অবস্থান করে, যাহা টের  পাবার কোনো উপায় থাকে না সেই পর্যন্ত, যে-পর্যন্ত না একজন মানুষ একটানা কয়েক বছর কামেল গুরু অথবা কামেল গুরুর খেলাফতপ্রাপ্ত কোনো খলিফার নির্দেশে নির্জন স্থানে একাকী ধ্যান-সাধনায় মগ্ন থাকে। কারণ, রুহ বিষয়টি কথার দ্বারা বোঝানো যায় না। তবে অতি সামান্য একটি ধারণার ছায়া দেওয়া যায়। কোরান-এর এই ছোট্ট আয়াতটির দিকে একটিু বিশেষভাবে লক্ষ্য করে দেখুন যে, “কুলুর নাফ্সি মিন আমরি রাববি’ বলা হয়নি। কেন বলা হয়নি? কারণ, আল্লাহর কোনো নফ্স নাই। নফ্স যাদের আছে তাদের অবশ্যই একটিবার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু যেহেতু ‍রুহ রবেরই আদেশ বলা হয়েছে সেইহেতু রুহ জন্ম-মৃত্যুর বৃত্তে তথা বলয়ে অবস্থান করে না।

সগীরে  আজম, জামালে কিবরিয়া, গোলামে হারিমেনাজ,ফজলে রাব্বানি , আমবারে ওয়ারসী, হেরমায়ে আবদাল, জানজিরে বেখুদি, লাসানিয়ে সিনানাথ, নূরে তাবাসসুম, মেহেতাব বিন্দাবাসি, দিলবারি পায়েন্দবাসি, আশেকা শারমিন্দাবাসি, গোলামে রিন্দী, পীরে এলমে লাহুতি,আম্বারে যিকরে মিম, জজবায়ে আশেকানা, ফিকরে জামালাস, ফিকরে উইসালাস, ফায়েজ মাহাবুবে এলাহী, খায়ের মাকদম,শারমি ফারোশাম, আমাদ তামামি, গোলামে ফা-কুম-কুম ইয়া হাবিবী, বাহুসনে এহে্তেমামত, তোফায়েলে দিগারা ইয়াবাত, মুফ্তা খারাজুয়ে, বেমেছালে লাজশরম, বারকাতকা এজাহার, জামালে এলাহিয়া, হালে মোরাকাবা, চেরাগে রওশন,জালুয়ায়ে নুরে এলাহী, বেনিয়াজ, গুলে বে নাজির, গোলামে বাশানে বাশিরুন, হুব্বেতো মাস্তাম,গোলামে মাকসুদে হাকিকত, পারাস্তারে মহাব্বত, উলুলে মহাব্বত, মোহনী মুরাত, সোহনী সুরাত, বান্দা নেওয়াজ, জালুয়ায়ে দিল, আশিকে জামালে ইয়ার, গোলামে হাসান হোসাইন, ফসলে গুল, গাওহারে মানি, হাকিকাতে মুনতাজার , ছানাম আশেকা, হুব্বে মাকামে কিবরিয়া, মেরা ইমান আলি হ্যাঁয়, ফায়েজে মাহাবুবে জালাল নূরি আল সুরেশ্বরী, হুসনে সানাম, নুরকা পূতলা, সুরাতে বালিহারি, বান্দায়ে তাজদারে হারাম, চেরাগে মহাব্বত, জুলমাতমে নূর, পারাস্তারে সামাদ, গোলামে জুলজালাল,বান্দায়ে ইকরাম, বেখুদি এ সেতারা ও হেলাল, চেরাগে জান শরীফ ডা. বাবা জাহাঙ্গীর ইকবাল ইবনে হেলাল গোলামে শাহ জালাল নূরী  আল সুরেশ্বরী।
(উনার রচিত ২৫ টি বই এবং ৬৩ ঘন্টার মেমোরিকার্ড টি শুনলেই আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন)।

পাগল হয়ে যাব, এত উচ্চমানের লিখা মাথায় আঁটে না। নফস ও রূহের পার্থক্য বিষয়ের উপর লিখতে গিয়ে বাবা জাহাঙ্গীর তাঁর কোরানুল মাজিদের ৬৩ নং পৃষ্ঠায় নিম্নোক্ত লিখাটির অবতারণা করেছেন। "Religious view of World Theology" ক্লাসে আমার ম্যাডামকে ( কোন এক কারণে তাঁর নামটি উল্লেখ করা হল না) এ লেখাটা দেখিয়েছিলাম আর বলেছিলাম আমাকে বুঝিয়ে দিন, প্রত্যুত্তরে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থেকে বললেন, "সারাজীবন ভাত খাওয়ার জন্য বিদ্যার্জন করে গেছি, কিন্তু, এ লেখাটা সক্রেটিস শ্রেণির লোকের লেখা যিনি নিজেকে চিনেছেন, এটা রেনে দেকার্তের মতো দার্শনিকদের দর্শন থেকে আরো উচ্চতম দর্শনের লেখা, এটা ডেভিড হিউম আর কান্টদের থেকে অারো অনেক উপরের লেখা, এখানে সমস্ত সন্দেহের অবসান ঘটেছে, এখানে মিলনের প্রশ্নে পুরোটাই Eternal Entity, এখানে দেহধারী মানুষটা নি:সন্দেহে পরমসত্ত্বার প্রতিমূর্তি, যদি তোমার সাথে তাঁর সাক্ষাত হয় তো আমার সালাম পৌঁছে দিও।
আসলে উলঙ্গ সত্য কথাটি বলতে গেলে বলতে হয় যে, রুহুল অামিন হলেন মহানবির অাপন অাধ্যাত্মিক প্রতিচ্ছবি। ইহা জগৎময় ব্যক্তও হতে পারে, আবার যেকোন মূর্তি ধারণও করতে পারে। ইহা স্থান-কালের (টাইম এন্ড স্পেস) সব রকম মানুষের আদি ও আসল রূপ। এইরূপের মাঝে প্রত্যাবর্তন করাই মানবজীবনের পরম এবং চরম স্বার্থকতা। অাল্লাহর নিকট মানুষের প্রত্যাবর্তন করার তথা ফিরে আসার অর্থটিও ইহাই।
উপরের কমেন্টটি  ভক্ত Aaga Bagalane (আগা বাগালাণী) র কমেন্ট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন